‘স্বপ্নের ঠিকানা’র রজত জয়ন্তী
১১ মে ২০২০ ১৫:২০
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবসাসফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’। এরপর যে ছবিটিকে বেশি সফল বলা হয় সেটি হচ্ছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। ঢালিউডের বরপুত্র সালমান শাহ ও জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর অভিনীত ছবিটির সোমবার (১১ মে) ২৫ বছর পূর্তি হলো।
রজত জয়ন্তী পার করা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র পরিচালক এম এ খালেক। ১৯৯৫ সালের ১১ মে ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পায় ছবিটি।
সে বছরের ঈদে আরও পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়—মুক্তির সংগ্রাম, ভাংচুর, সংসারে সুখ দুঃখ, বুকের ধন ও বাংলার কমান্ডো। বুকের ধন ও বাংলার কমান্ডো ব্যতীত সব কয়টি ছবিই ব্যবসা সফল হয়। কিন্তু ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ করে রেকর্ড ব্যবসা।
প্রযোজক মোঃ নুরুল ইসলাম পারভেজ জানিয়েছিলেন তিনি ১৮ কোটি টাকা আয় করেছেন। যদিও তার দাবি ছিলো আরও অনেক টাকা হল মালিকদের কাছ থেকে তার পাওনা ছিলো। তা আর ফেরত পাওয়া হয়নি। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঈদে প্রথম সপ্তাহে ঢাকার কোন হল মালিক ছবিটি চালাতেই চায় নি। ঢাকার বাইরের সিনেমা হলগুলোর ‘হাউজফুল’ বোর্ড তাদের এক প্রকার বাধ্য করে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ চালাতে।
‘অচিরেই আসছে আপনার প্রেক্ষাগৃহে/শাশ্বত প্রেমের অবিস্মরণীয় চিত্ররূপ’— এমন ক্যাপশনে ছাপা হয়েছিলো ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র পত্রিকার বিজ্ঞাপন। গল্প আহামরি না হলেও দর্শক হৃদয়ে দিয়ে ছিলো দোলা।
শাবনূর এক গরীব ফুল বিক্রেতা। তার নাম সুমী। অন্যদিকে ধনীর দুলাল সালমান শাহ্ তথা সুমন। দুজনের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা। কিন্তু দুর্ঘটনায় সুমন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেললে তার জীবনে আসে নতুন আরেকজন। তখন সুমীর সামনে ভালোবাসার অগ্নিপরীক্ষা। পারবে কি প্রেমিককে সুস্থ করে তুলে নিজের হারানো প্রেম ফিরে পেতে? এমনই গল্পের ছবি ‘স্বপ্নের ঠিকানা’।
তরুণদের হৃদয়ে প্রেমের এমন পরীক্ষা বেশ দাগ কেটেছিলো। আর তো ছিলো সালমান-শাবনূরের অসাধারণ রোমান্স, অভিনয়। যা ছিলো ছবিটির ‘ইউনিক সেলিং পয়েন্ট (ইউএসপি)’।
‘স্বপ্নের ঠিকানা’র আরেক ‘ইউএসপি’ এর গান। ‘এই দিন সেই দিন কোনোদিন তোমায় ভুলবোনা/চলতে চলতে পাবো দুজন স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ছবির সব কটি গান ছিলো তখনকার সময়ে রেডিও’র টপচার্টে।
এটলাস মুভিজের প্রযোজনায় ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও ছিলেন রাজিব, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, দিলারা ও সোনিয়া।