‘৫০০ কোটি টাকা দরকার চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে’
১৫ মে ২০২০ ১৭:৫৪
বেশি আশায় বুক বাঁধলে নাকি কষ্ট পেতে হয়। দেশীয় চলচ্চিত্রের মানুষদের এখন হয়েছে সে ধ্বসা। ২০২০ সালকে তারা ধরে নিয়েছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হিসেবে। বিশে হবে বিষ ক্ষয়, এমন ভাবনা টিকলো না। উল্টো হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষফোঁড়া। আর এর কারণ করোনাভাইরাস।
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের সবকিছু বন্ধ। সিনেমা হল বন্ধ ১৮ মার্চ থেকে। সরকার চলমান লকডাউন খুলে দিলেই কি ঘুরে দাঁড়াবে চলচ্চিত্র?
চলচ্চিত্র পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে বেশ শঙ্কায় রয়েছেন এ অঙ্গনের মানুষেরা। পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার মনে করেন চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা দরকার। এটা কোন অনুদান হবে না। অন্যান্য শিল্পের মত ২-৩ শতাংশ সুদে ঋণ।
তিনি বলেন, ‘সরকার ২০১২ সালে চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করেছে। তাই আমরা স্বল্প সুদে শিল্প ঋণ পেতেই পারি।’
গুলজারের মতে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ প্রযোজক-পরিচালকদের ক্ষতিপূরণ ও ৫০-৬০টি ছবি আগামী এক বছরে নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি টাকা দরকার। একই সাথে এফডিসিকে ১০০ কোটি টাকা এবং সিনেমা হল মালিকদের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দরকার।
তিনি বলেন, ‘এফডিসির একটি ছবি নির্মাণের জন্য সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তার চাইলে আমাদের অন্য প্রযোজকদের তুলনায় অর্ধেক খরচে ছবি নির্মাণ করতে পারবে। তারা এবং আমরা মিলে যদি এক বছরে ৭০-৮০টি ছবি নির্মাণ করতে পারি তাহলে ইন্ডাস্ট্রি যে ধাক্কাটা খেয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
‘সাধারণ সিঙ্গেল স্ক্রিণের মালিকরা ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে ২০০-৩০০ সিনেমা হল সংস্কার করতে পারবে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে পারবে দর্শকদের। একই সাথে তাদের হলে চালানোর মত কনটেন্টও আমাদের হাতে থাকবে।’
তবে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন গুলজার। তিনি বলেন, ‘আমরা লকডাউন শেষে সকল সংগঠন মিলে বসে লিখিত আকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া দিবো। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের কথা শুনবেন।’
প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুও চান সরকারের প্রণোদনা। তবে তার অংক কত হবে তা এখনই সিদ্ধান্ত নেননি তারা। ‘লকডাউনের কারণে সমিতির সদস্যদের সাথে ফোনে ফোনে যোগাযোগ থাকলেও ওইভাবে মিটিং করা যাচ্ছে না। আমরা লকডাউন খুললে সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিবো।’
তবে তিনি চান সরকার ৫০টি ছবি প্রযোজনা করুক। একই যারা গত মার্চ থেকে ছবি মুক্তির কথা ছিলো কিংবা ছবি শেষ করতে পারেননি লকডাউনের কারণে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
চলচ্চিত্রের সকল সংগঠন মিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনার জন্য আবেদন করেছে। গত ৬ মে এ আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত এর কোন অগ্রগতি নেই বলে জানালেন খসরু।
৫০০ কোটি টাকা করোনাভাইরাস খোরশেদ আলম খসরু প্রণোদনা মুশফিকুর রহমান গুলজার