ছয় মাসে সাতটি ছবি থেকে বাদ দেয়া হয় সুশান্তকে
১৬ জুন ২০২০ ১৭:০৮
ডিপ্রেশনে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই ডিপ্রেশন? মারা যাওয়ার ছয় মাস আগে সাতটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে সেই সাতটি ছবিই হাতছাড়া হয়ে যায় তার। সুশান্তের সর্বশেষ ব্যবসা সফল ছবি ‘ছিছোঁড়ে’- যে ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় বোদ্ধা মহলে। ‘ছিছোঁড়ে’ ছবির সাফল্যের পরই ওই ছবিগুলিতে সই করেন সুশান্ত। কিন্তু সেগুলো পরপর হাতছাড়া হয়ে যায়। সুশান্তের ডিপ্রেশনের এটাও একটা কারণ বলে মনে করছেন বোদ্ধারা। আবার অনেকেই এই অভিনেতার অকাল মৃত্যুতে বলিউডকে দায়ী করেছেন।
ভারতের রাজনৈতিক নেতা সঞ্জয় নিরূপম সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, ‘পরপর ৭টি ছবিতে সাইন করেছিলেন সুশান্ত। আর ৬ মাসে একের পর এক সেই সাতটি ছবি হাতছাড়া হয়েছে এই অভিনেতার’। তার পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নিষ্ঠুরতা এক অন্যমাত্রায় কাজ করে। আর সেই নিষ্ঠুরতার জন্যই প্রতিভাবান শিল্পীরা হারিয়ে যান’।
বলিউডের অন্যতম পরিচালক শেখর কাপুরও লিখেছিলেন যে তিনি জানতেন সুশান্ত কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক বলিউড তারকাই বলেছেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ছেলে নয় বলে অনেক কঠিন পথ পেরোতে হয়েছে সুশান্তকে’।
সুশান্তের আত্মহত্যার ঘটনায় পেশাগত কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে এবং এ ব্যাপারে মুম্বাই পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি জানিয়েছেন, ‘পোস্টমর্টেম বলছে, সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছে গলায় ফাঁস দিয়ে। কিন্তু মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, সুশান্তের ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের পিছনে ছিল পেশাগত শত্রুতা। মুম্বাই পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করবে’।
এদিকে তদন্তে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তাদের মধ্যে সবার আগেই নাম রয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। কারণ শেষের দিকে তিনিই সুশান্ত সিং রাজপুতের সবথেকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন বলে মনে করা হয়।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে মুম্বাই পুলিশের সুত্রে বলা হয় গত তিন মাস ধরে বাড়িতেই নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন সুশান্ত। এদিকে সুশান্তকে খুনের বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে সুশান্তের প্রভিশনাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিন জন চিকিৎসকের একটি টিম সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে অ্যাসফিকসিয়া’র ফলেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। যা মূলত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ফলেই হয়ে থাকে।