সহ-প্রযোজক খুঁজছেন সেলিম ও সৌদ
২২ জুলাই ২০২০ ১৬:১৭
২০১৯-২০ অর্থ বছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছেন দুই নন্দিত নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও বদরুল আনাম সৌদ। তারা ৫০ লাখ ও ৫৫ লাখ টাকা করে পাবেন। কিন্তু এ টাকায় পুরো ছবি শেষ করা সম্ভব নয় বিধায় দুজনই সহ-প্রযোজক খুঁজছেন।
গিয়াউদ্দিন সেলিমের ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে ‘কাজল রেখা’ নির্মাণের কথা বলছেন অনেক বছর ধরে। এটি তার দশ বছরের স্বপ্ন। চিত্রনাট্য নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। কিন্তু বাজেটের অংক শুনে কেউই সাহস করেননি।
সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছবির বাজেট ৪ কোটি টাকা। কিন্তু সরকারি তরফ থেকে পেয়েছি ৫০ লাখ টাকা। এর জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এটা দিয়ে হয়তো কাজটা শুরু করতে পারবো। কিন্তু শেষ করতে পারবো না। তাই আমাকে খুব স্বাভাবিকভাবে প্রযোজক খুঁজতে হচ্ছে। যিনি বা যারা এ ছবির সহ-প্রযোজক হিসেবে থাকবেন।’
২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ‘গহীন বালুচর’ ছবির অনুদান পেয়েছিলেন বদরুল আনাম সৌদ। তিনি এবার পেয়েছেন ‘শ্যামা কাব্য’র জন্য। এটির চিত্রনাট্য তিনি ২০ বছর আগে লিখেছিলেন বলে জানিয়েছেন। ওথেলো সিনড্রোম (ভালোবাসাজনিত সন্দেহপরায়ণতা যখন মানসিক ব্যাধি) ধারণাটি ব্যবহার করেছেন।
সৌদ বলেন, ‘আমার ছবি জন্য সরকারি অনুদানের বাইরেও অর্থ লাগবে। তা অনুদানের অঙ্কের প্রায় দ্বিগুণ। এখন আমাদের সহ-প্রযোজক খুঁজতে হচ্ছে। আর বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে মনে হচ্ছে না আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগের শুটিং শুরু করতে পারবো। যদি তাই হয় তাহলে হয়তো অনুমতি নিয়ে সময় বাড়াতে হবে।’
সরকারি অনুদানে চিত্রনাট্য জমা দেওয়ার সময় সম্ভাব্য শিল্পীর একটি তালিকা সাথে দিতে হয়। অভিনয়শিল্পী কি সে তালিকানুযায়ী হবে?
‘শিল্পীদের যাদের নাম জমা দিয়েছি তাদের আমরা প্রযোজক খোঁজার পাশাপাশি অডিশনের জন্য ডাকবো। সেখান থেকে যাদেরকে মনে হবে চরিত্রের উপযুক্ত তাদের চূড়ান্ত করবো’— বলেন সেলিম।
অন্যদিকে সৌদ বলেন, ‘আমাদের চিত্রনাট্য সংশোধনের কাজ চলছে। চিত্রনাট্য চূড়ান্ত হোক, তারপর অভিনয়শিল্পী নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করবো।’
১৬টি চলচ্চিত্র পূর্ণদৈর্ঘ্য ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য ক্যাটাগরি নির্বাচিত হয়েছে ৯টি চলচ্চিত্র। নির্বাচিত ছবিগুলো সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা করে পাবে।