বিচারের দাবিতে একাই দাঁড়ালেন সালমান ভক্ত
৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৩৬
সালমান শাহর মৃত্যু, বিবিসির জরিপের বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ২০ ঘটনায় উঠে এসেছে। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার মৃত্যুর ২৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে, তবুও থেমে নেই ভক্তদের হাহাকার। সিআইডি কিংবা পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বারবার বলা হয়েছে ‘পারিবারিক কলহের’ জেড়ে আত্মহত্যা করেছেন সালমান। তার ভক্তরা বহুবার এসকল তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। করেছেন মানববন্ধন। এর আগের মানববন্ধনগুলো অনেক সালমান ভক্তরা মিলে করলেও এবার দাঁড়িয়ে গেছেন একজন, সম্পূর্ণ একা। নাম তার মাসুদ রানা নকীব।
সাংবাদিকদের তীর্থকেন্দ্র জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যানার, পেস্টুন হাতে করে একা দাঁড়িয়েছেন নকীব। প্রেস ক্লাবের দেওয়ালে ঝুলানো ব্যানারে লেখা, ‘সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ পুনঃতদন্ত সাপেক্ষে চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র রহস্যজনক অকাল মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
নকীবের হাতে থাকা ফেস্টুনে লেখা, ‘সালমান হত্যার বিচার চাই’। প্রশ্ন কেন প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চাইছেন?
সারাবাংলাকে নকীব বলেন, ‘তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার সালমানের পারিবারিক কলহের ব্যাপারে কথা বলছে। শাবনূরের সঙ্গে প্রেমের কথা বলছে, যদিও সালমান তাকে বোনের চোখে দেখতো। অথচ তার উপর বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছে, তাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। সবশেষ মৃত্যুর আগে ২২ আগস্ট (১৯৯৬) শ্বশুরবাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার তেজতুরি বাজার এলাকায় নাটকের শুটিং করার সময় তাকে আক্রমণ করা হয়। একরাতে সালমানকে ধানমন্ডি ঈদ্গাহ মাঠে ডেকে নিয়ে চুরিকাঘাতের চেষ্টা করা হয়। সে ঘটনায় তার হাতের তালু কেটে গিয়েছিলো। এসকল বিষয় ওইসময়ের পত্র-পত্রিকায় এসেছে। বিষয়গুলো একবারও তদন্তকারীরা আমলে নেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে ঘিরে এফডিসিতে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারকে কেন্দ্র করে তার এক বক্তব্যকে ঘিরে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তার কোন বক্তব্য শোনার প্রয়োজন মনে করিনি শিল্পী সমিতি। ওই নিষিদ্ধের ঘটনায় কাজ করতে না পারায় তার শিডিউল জটিলতা তৈরি হয়, যা নিয়েও তাকে হয়রানি করা হয়। এছাড়া তাকে বহুবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিলো। এগুলো কেনো তদন্তকারী দেখলো না।’
কিন্তু একা একা মানববন্ধনের কারণ কী? নকীব বলেন, ‘অনলাইন-অফলাইনে সালমান ভক্তরা এক হয়ে কাজ করি। চাইলে সবাই মিলে মানববন্ধন করা যেত। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আমি একাই করার সিদ্ধান্ত নিই।’