অঘোষিত ‘কমেডি কিং’ দিলদার
১৩ জানুয়ারি ২০২১ ২১:২০
কৌতুক অভিনেতা হিসেবে একক আধিপত্যে বাংলা চলচ্চিত্রে দাপুটে অভিনয় করে গেছেন তিনি; পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই দম ফাটানো হাসির রোল। দর্শকদের পর্দায় তার অঙ্গভঙ্গি দেখে না হেসে উপায় ছিল না। আবার গল্পের প্রয়োজনে মুহূর্তে কাঁদিয়েও ফেলতে পারতেন এই স্বনামখ্যাত অভিনেতা। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের অঘোষিত কমেডি কিং দিলদার।
১৯৭৫ সালে অমল বোসের ‘কেন এমন হয়’ সিনেমায় অভিষেক হয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের। এরপর থেকে অসংখ্য সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে আশি ও নব্বই দশকে বাংলা সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা মানেই দিলদার।
কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদার জনপ্রিয়তার এমন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন যে তাকে নায়ক করে ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি ছবিও নির্মাণ করা হয়। ওই ছবিতে লোক হাসানো মানুষের খোলস ছেড়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন অন্যরূপে। ছবিতে দর্শক তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শক।
দিলদারের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে মহানায়ক, বেদের মেয়ে জোসনা, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, কন্যাদান, চাওয়া থেকে পাওয়া, জীবন সংসার, স্বপ্নের নায়ক, আনন্দ অশ্রু, শান্ত কেন মাস্তান, প্রিয়জন, বিচার হবে, লঙ্কাকাণ্ড, ডন উল্লেখযোগ্য।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্যরা কৌতুকশিল্পীদের প্রতি খুব একটা আগ্রহী না। অনেক বছর ওই ক্যাটাগরিতে পুরস্কারই দেওয়া হয় না। ‘কমেডি কিং’ দিলদার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মাত্র একবার; তাও মৃত্যুর পর—২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য।
১৯৪৫ সালে ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্ম নেয়া এই গুণী অভিনেতা মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। বেঁচে থাকলে আজ ৭৬ বছর হত এই গুণী অভিনেতার। আজ জন্মদিনে উনার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
সারাবাংলা/এজেডএস