মুহিনের দাদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, নানা বীর প্রতীক
২৬ মার্চ ২০২১ ১৩:৩১
ক্লোজওয়ান তারকা মুহিনের পরিবারের সাত জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে তার দাদা আবদুর রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলন। নানা পেয়েছেন বীর প্রতীক খেতাব।
তিনি তখন পুলিশে চাকরি করতেন। যুদ্ধ শুরুর মাত্র কিছু দিন হয়েছে। পাকিস্তানি পুলিশ থেকে বাঙালি সৈন্যরা আলাদা হয়ে গিয়েছেন ততদিনে। মুহিনের দাদারা সবাই মিলে ঠিক করলেন তারা সবাই সোনালী ব্যাংক দখল করবেন। কিন্তু পাহারায় পাকিস্তানি সৈন্যরা। তবুও যাদের বুকভর্তি দেশপ্রেম, সেসকল অকুতোভয় যোদ্ধারা ৪ এপ্রিল, ১৯৭১ সিলেটের সোনালী ব্যাংক আক্রমণ করে বসলেন। ফলাফল সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হলেন মুহিনের দাদাসহ ১০ জন।
অন্যদিকে তার নানা আজিজুল হক ছিলেন কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের আর.আই, যা বর্তমানে ওসি। পাকিস্তানি সৈন্যরা কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগার লুটের করেন। সে চেষ্টা মুহিনের নানার নেতৃত্বে প্রতিরোধ করা হয়। যুদ্ধ শেষে তিনি পান বীর প্রতীক স্বীকৃতি। মুহিন জানান, শুধু দাদা, নানা নন তার পাঁচ মামাও মুক্তিযোদ্ধা।
জন্মের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে বড় হয়েছেন মুহিন। তাই তো মুক্তিযুদ্ধে, বাংলাদেশের প্রশ্নে সবসময় আপোষহীন থাকতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি খুব গর্বিত এমন একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছি। তাই এ দেশ নিয়ে কেউ কোন খারাপ কথা বললে বা এদেশে বাস করে দেশের ক্ষতি করতে চাইলে খুবই কষ্ট লাগে।’
সারাবাংলা/এজেডএস