ঈদ নাটকে রাবেয়া খাতুনের ‘শহরের শেষ বাড়ি’
৩ মে ২০২১ ১৫:০০
খ্যাতিমান সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রয়াত হয়েছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। তিনি নেই, কিন্তু তার সাহিত্যকর্ম আছে, থাকবে। সেই সাহিত্যকর্মের ভান্ডার থেকে নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ এবার নির্মাণ করেছেন নাটক ‘শহরের শেষ বাড়ি’। এর চিত্রনাট্য করেছেন মাসুম শারিয়ার। এতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, তানিয়া আহমেদ, জুনায়েদ বাগদাদী প্রমুখ।
পুরনো প্রতিটা বাড়িরই বিচিত্র রকম গল্প থাকে। সেসব গল্প থেকে যায় আমাদের অজানা। একসময়ের শহরতলীর শেষ বাড়িটার চারপাশেই এখন বড় বড় অট্টালিকা। কিন্তু পুরনো এক একটা বাড়ি বিচিত্র রকমের ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তেমনি একটা বাড়ির গল্প, ‘শহরের শেষ বাড়ি’।
আমানুল্লাহ একসময় পুলিশে চাকরি করতেন। অনিয়মের অপরাধে, এখন তার চাকরি নেই। অনেক বছর আগে এই বাড়িটা তিনি কৌশলে কব্জা করেছিলেন এক আসামীর কাছে থেকে। তার স্ত্রীর নাম গোলাপজান। এদের দুই ছেলে মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করে। একসময় বাড়িতে লোক ছিল। এখন তাদের সঙ্গে থাকে অল্পবয়সের এক কাজের মেয়ে আর রহিম নামের এক ড্রাইভার। গোলাপজানের ছোট ভাই মনোয়ার ছেলেবেলা থেকেই তার বোনের কাছেই বড় হয়। দুলাভাইর অনৈতিকতা, বোনের অহংবোধ মনোয়ারকে কষ্ট দেয়। কাজেই সামান্য একটা চাকরি নিয়ে সে চলে যায় ঢাকার বাইরে। সেই মফস্বল শহরেই মনোয়ারের পরিচয় হয় রেজয়ানা নামের এক তরণীর সঙ্গে। পিতৃমাতৃহীনা রেজওয়ানাও বড় হয়েছে তার ফুপুর কাছে। ঘটনাক্রমে রেজওয়ানা এবং মনোয়ারা বিয়ে করে ফেলে।
মনোয়ারের বোন গোলাপজান ওদের ঢাকাতে ডেকে নিয়ে আসে। বউকে রেখে মনোয়ার চলে যায় চাকরিতে। সপ্তাহান্তে বাড়ি ফিরে। এভাবে বেশকিছু দিন। কিন্তু রেজওয়ানার মন টেকে না এই বাড়িতে। তার কাছে মনে হতে থাকে বাড়িটাতে অভিশাপ আছে। নানা ঘটনার পর মনোয়ার রেজওয়ানাকে নিয়ে চলে যায় এ বাড়ি থেকে।
কিন্তু গল্প শেষে আমরা দেখতে পাই এ বাড়ির পাপের প্রায়শ্চিত্য করতে হয় রেজওয়ানা আর মনোয়ারকেই। একটা গল্পের শেষে সেখানে আবার নতুন গল্পের সূচনা হয়।
নাটক ‘শহরের শেষ বাড়ি’ দেখানো হবে ঈদের দিন রাত ৭টা ৪০ মিনিটে চ্যানেল আইতে।
ঈদ নাটক ঈদ নাটকে রাবেয়া খাতুনের ‘শহরের শেষ বাড়ি’ রাবেয়া খাতুন শহরের শেষ বাড়ি