জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে সীমান্ত সজলের ‘কালো হরিণ চোখ’
২৫ আগস্ট ২০২১ ১৪:৩১
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জনপ্রিয় তরুণ নির্মাতা সীমান্ত সজল নির্মান করলেন বিশেষ নাটক ‘কালো হরিণ চোখ’। কাজী নজরুল ইসলামের ‘বাদল বরিষনে’ গল্পের ছায়া অবলম্বনে এই নাটকের চিত্রনাট্য করেছেন বিষ্ণু ঈয়াস। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে রওনক হাসান, মৌসুমি হামিদ, জয় রাজ, ডাঃ আমিন, সান্তনা সাদিকা, অধরা প্রিয়া, আয়শা, কাজী বাবুল, জুয়েল রানা, সাগর দাশ, রিয়ান মালিক রানা, সাজিদ খান ও ইয়াসির আরাফাত। প্রচারিত হবে শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) রাত ১০টায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে।
‘কালো হরিণ চোখ’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, কাজরী নামের কালো এক মেয়ের কালো হরিণ চোখ দেখে মুগ্ধ হয় গল্পের নায়ক ইউসুফ। ইউসুফ হলো জমিদারের ছোট নাতি। তাদের এখন জমিদারিত্ব না থাকলেও গ্রামে তাদের জমিদারি বংশের সুখ্যাতি রয়ে যায়। অনেক বছর পর জমিদার নাতি ইউসুফ গ্রামে এসে চঞ্চলা কিশোরী কাজরীর চঞ্চলতায় মুগ্ধ হয়। বিশেষ করে কাজরীর কালো হরিণ চোখ তাকে আকৃষ্ট করে।
কাজরীর সাথে কথা বললে বুঝা যায় কাজরী তার কালো রূপের কারণে নিজেকে সবসময় তুচ্ছ অবহেলিত ভেবে আসছে। কিন্তু ইউসুফ তাকে বুঝায় মানুষের সৌন্দর্য বাহিরের রূপে নয় আসল সৌন্দর্য তার মনের ভিতরে। তারপরও কাজরী নিজেকে ছোট ভেবে তার কালো রূপ বদলাতে স্রষ্টার নিকট আরাধনা জানায়।
এদিকে কাজরীর বাবা হরেন ছুতো জোর করে মদখোর বিষ্ণুর সাথে কাজরীর বিয়ের ব্যবস্থা করে। বিয়ের আসরে কাজরী পালিয়ে যায়। সেখান থেকে নাটকের মোড় ঘুরে যায়।
এই নাটক প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে নির্মাতা সীমান্ত সজল বললেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের বাদল বরিষনে গল্পটি মুলত ভাদ্রের শুক্লা পঞ্চমীর বৃষ্টিমুখর রাতে প্রিয় মানুষের বিসর্জনের ব্যথা স্মৃতি রোমন্থন করা একটি বেদনাতুর গল্প। গল্পটি বর্ণ ও ধর্ম বৈষম্য নিয়ে। আর এই গল্পের চিত্রনাট্যটি স্বনামধন্য চিত্রনাট্যকার বিষ্ণু ঈয়াসের এক অনবদ্য সৃষ্টি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, আমাদের সর্বোচ্চ মেধা ও মননশীলতা দিয়ে নাটকটি নির্মাণের। আশা করবো দর্শকদের ভালো লাগবে। তাদের পাশে পাবো।’
সারাবাংলা/এএসজি
কালো হরিণ চোখ জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবস বিশেষ নাটক মাছরাঙা টেলিভিশন মৌসুমি হামিদ রওনক হাসান সীমান্ত সজল