।। এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: শনিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা সন ১৪২৫-এর প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ। সকল পুরোনোকে ফেলে দিয়ে নতুন স্বপ্ন ও শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়। তাই দিনটি বাঙালির কাছে প্রতীক্ষিত ও আনন্দের দিন।
বৈশাখ উদযাপন করতে প্রস্তুত দেশ, প্রস্তুত বাঙালি। বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী ও মূল আয়োজনটি করে থাকে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। পঞ্চাশ বছর ধরে রমনার বটমূলে বৈশাখ বরণ করে আসছে সংগঠনটি। এবার তারা উদযাপন করবে বর্ষবরণের ৫১তম বছর।
প্রতিবছরের মতো বৈশাখের সূর্য চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে অনুষ্ঠান। যার অনুমানিক হিসেব ভোর ৬টা ১০ মিনিট। বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত ছায়ানটের প্রায় দেড় শ শিল্পী। বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) চূড়ান্ত মহড়া করেছেন শিল্পীরা। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) করেছেন মঞ্চ মহড়া।
বংশীবাদক শিল্পী মর্তুজা কবির মুরাদ-এর বাঁশিবাদনে শুরু হবে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। ভোরের আলোর সঙ্গে বাঁশিতে বেজে উঠবে আহীর ভৈরব রাগের আলাপ। দুই ঘণ্টার কিছু বেশি ব্যপ্তিকালের অনুষ্ঠান শেষ হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। ১৬টি একক গান, ১২টি দলীয় গান, ২টি আবৃত্তি দিয়ে সাজানো অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে ছায়ানট-সভাপতি সন্জীদা খাতুনের শুভেচ্ছা কথন দিয়ে।
অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করার জন্য পুলিশ ও র্যাবের তিন স্তরের নিরপত্তা রয়েছে রমনা পার্ক জুড়ে।
ছায়ানটের অনুষ্ঠানের পর শুরু হবে বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে এই শোভাযাত্রা বের হবে সকাল ৯টায়। শোভাযাত্রার এবারের বিষয় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’।
শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে পেঁচা ও বাঘের মুখোশ। আরও থাকবে হাতি, বক-মাছ, পাখির বড় বড় প্রতিকৃতি। ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা (ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল হেরিটেইজ) অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
এ ছাড়াও সারাদিনই রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সারাবাংলা/পিএ