চলে গেলেন চয়নিকার সেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট সেই লাইটম্যান
১২ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪১
লাইটম্যান সবুজ অবশেষে হার মানলেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর নাটকের সেটে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ১টার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে। চয়নিকা চৌধুরী সারাবাংলাকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
চয়নিকা বলেন, সবুজের শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তার কার্ডিয়াক ফেইল করেছিল। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু হলো না।
সবুজ কাজ করতেন লাইটম্যান খলিলের প্রতিষ্ঠানে। সারাবাংলাকে খলিল জানান, সবুজের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত। ৩ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। ১৩ মাস বয়সী ছেলে রয়েছে তার। স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা ছাড়া তার ছোট এক বোন রয়েছে। যার বয়স ৮-৯ বছর।
তিনি জানান, মঙ্গলবারই সবুজকে গাইবান্ধা নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আগামীকাল তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
খলিল বলেন, আমার ইচ্ছে আছে সবুজের পরিবারকে প্রতি মাসে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা পয়সা দেওয়ার। চয়নিকা দিদিসহ অনেকেই সহায়তা করছেন। আসলে এ মৃত্যু আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে গেল। এক বছর ধরে আমার এখানে সে কাজ করতো। খুবই খারাপ লাগছে।
গত ৬ এপ্রিল দুপুরের দিকে মিরপুর ডিএইচওএসের এক শুটিং বাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হন সবুজ। দুর্ঘটনার পর চয়নিকা বলেন, ‘নাটকের দৃশ্যের লাইট বাড়ানো বা ব্যালেন্স করার জন্য একধরনের সাদা বোর্ড ব্যবহার করি আমরা। সবুজ শুটিং হাউজের দোতলার বারান্দায় ওরকমই একটা বোর্ড ঠিক করছিলো। এমন সময় রাস্তায় থাকা বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে বোর্ডের ধাক্কা লাগে। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।’
‘বাইরে প্রচুর বাতাস ছিল। যাই হোক দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি, আমার ম্যানেজার, প্রোডাকশন টিমের সকলে মিলে সবুজকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাই।’
বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পর জানা যায়, সবুজের শরীরের ৩৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ঈদ নাটক ‘প্রথম প্রথম প্রেম’-এর সেটে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, মৌ, শহীদুজ্জামান সেলিম।
সারাবাংলা/এজেডএস
চয়নিকা চৌধুরী প্রথম প্রথম প্রেম বিদ্যুস্পৃষ্ট লাইটম্যান সবুজ