কারাগার লুকে চঞ্চল চৌধুরী
১ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩১
২০২০ সালের ডিসেম্বরে তরুণ নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি এবং সালেহ সোবহান অনিমের পরিচালনায় মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’। মুক্তির পরই আলোড়ন তোলা সিরিজটি দেশে ও বিদেশে সেরা ওয়েব সিরিজ, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা সহ বেশ কিছু পুরস্কার জিতে নেয়। সিরিজটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী।
দুই বছর পর, জনপ্রিয় এই জুটি আবার হইচইয়ে ফিরে আসছে অরিজিনাল সিরিজ ‘কারাগার’ নিয়ে। চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের যে লুক প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে অনলাইন মাধ্যম গুলোতে জোর চর্চা চলছে। চরিত্রের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য অনেকটা ওজন ঝরাতে হয়েছে। বসে যাওয়া গাঢ় লাল চোখ, কঙ্কালসার শরীরে চটের তৈরি প্রাচীনকালের কয়েদীদের পোষাক, ছোট করে ছাঁটা চুলে তার যেমন লুক, সেরকম তাকে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। মূল গল্পের খুব বেশি প্রকাশ না পেলেও এটুকু বোঝা গেছে যে চঞ্চল চৌধুরী একটি রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
নিজের এই পরিবর্তন সম্পর্কে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “কারাগার সিরিজটি আমার অন্য কাজগুলো থেকে বেশ আলাদা। সিরিজটি বেশ ইন্টারেস্টিং, আর ক্যারেক্টারটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছে। এ ধরণের ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত হতে হয়। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করা, কস্টিউম সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য অভাবনীয় এফোর্ট দিতে হয়েছে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে জানতাম যে আমরা কি করতে চাইছি। এখন দেখা যাক কাজটা দর্শকদের কেমন লাগে।”
এই বিষয়ে সিরিজের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এখনি তিনি সব কিছু প্রকাশ করতে নারাজ। তিনি বলেন, “কারাগার আমাদের আজ পর্যন্ত করা সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী কাজ। প্রায় দেড় বছর আগে, এই গল্পের আইডিয়াটা আমাদের মাথায় আসে। কারাগার আমাদের লেখা সবচেয়ে বড় চিত্রনাট্য। এতে রহস্য আছে, ইতিহাস ও নাটকীয়তা আছে। অভিনয়ের পাওয়ার হাউস সব শিল্পীদের আমি আমার সেটে পেয়েছি। এটা সত্যিকার অর্থেই একটি ড্রিম কাস্টিং। এরকম শিল্পীদের এক সঙ্গে পারফর্ম করতে দেখাটা অন্যরকম একটি আনন্দের ব্যাপার।”
কারাগার সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, এ কে আজাদ সেতু সহ আরও অনেকে।
সিরিজটির গল্প আকাশনগর সেন্ট্রাল জেল নিয়ে। যেখানে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেল গোণার বাইরে একজন অতিরিক্ত কয়েদী। কয়েদী কম হলে চিন্তার বিষয়, বেশী হলে আরও চিন্তার বিষয়। কে এই কয়েদী? আর সে যে সেল কিনা গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ, সেই ১৪৫ নাম্বার সেল এ কীভাবে এলো?
সারাবাংলা/এজেডএস