সৈকত নাসির সীমান্তবর্তী এলাকার গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘বর্ডার’। ছবিটির সেন্সর প্রদর্শনী ছিল গেল ২২ আগস্ট। কিন্তু ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র না দিয়ে সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে। এ সংশোধনী বেশ বড়সড় আকারে আসছে। সেন্সর বোর্ডের বেশকিছু সূত্র সারাবাংলাকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের একটি সূত্র সারাবাংলাকে বলেন, ছবিটিতে সীমান্তবর্তী এলাকা দেখানো হলেও বিজিবির পরবর্তীতে পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখানো হয়েছে। আবার মাফিয়ারা মন্ত্রী এমপিদের নিয়ন্ত্রণ করছে, এমনটাও দেখানো হয়েছে। যার কারণে বোর্ড সদস্যরা ছবিটিতে সংশোধনী দিতে চান। বোর্ডের চেয়ারম্যান তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ছবিটি দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মমিনুল হক জানান, আগামী দু-একদিনের মধ্যে ছবিটি নিয়ে একটি মিটিং আছে। সচিব ছবি দেখবেন এর আগে। এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিবেন ছবিটিতে সংশোধনী দেবেন নাকি দেবেন না।
তবে বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের আর কোনো সদস্য বক্তব্য দিতে রাজী হননি।
‘বর্ডার’-এর পরিচালক সৈকত নাসির অবশ্য বললেন, যেসব ভুলের কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার গল্প বললেও সীমান্তের গল্প বলি নাই। আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার একটি থানার গল্প বলেছি। সেখানকার একটি বিশেষ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করে। তাছাড়া গল্পে একটা পর্যায়ে পুলিশ সীমান্তে যায়, তখন অফিসার তার অধীনস্থকে জিজ্ঞেস করেন, এটা তো সীমান্ত এলাকায়, এখানে কিন্তু বিজিবির অনুমতি নিতে হবে। তা নেওয়া হয়েছে কীনা? জবাবে তাকে জানানো হয় লিখিত ও মৌখিক দুই ধরণের অনুমতিই নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের ভালো করেই ধারণা আছে সীমান্ত এলাকায় কার কী দায়িত্ব।’
‘আর মন্ত্রী, এমপির কোনো গল্পই আমরা দেখাইনি। শুধু দেখিয়েছি একজন পিএসের গল্প। কিন্তু সে কীসের পিএস তা তো আমরা গল্পে বলি নাই। কেউ যদি ধরে নেন সে মন্ত্রী, এমপির লোক- তা তো দুঃখজনক।’
তবে সেন্সর বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো নির্দেশনা পাননি পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আগে ওনার লিখিত কোনো সংশোধনী দেয় কিনা, তা দেখি। তখন যদি দেখি ওনারা এমন কোনো সংশোধনী দিয়েছেন যার বিপরীতে আমার শক্ত যুক্তি আছে, তাহলে অবশ্যই আমি তা তাদের কাছে তুলে ধরবো। আর যদি প্রয়োজন হয়, তখন না হয় রিশুট করবো।’
ছবিটির কাহিনি লিখেছেন আসাদ জামান। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার। আরও আছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধা। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট। ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো।