‘প্রতিযোগীতায় আমরা ভালো করবো, খারাপ করবো না’
২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:১৭
একটা সময় প্রতি ঈদে বাপ্পী চৌধুরীর ছবি মুক্তি পেত। কিন্তু গেল কয়েক বছর পায়নি। এবারের ঈদে তার অভিনীত ‘শত্রু’ মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটির ব্যবসা নিয়ে বেশ আশাবাদী বাপ্পী মুখোমুখি হয়েছেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর আহমেদ জামান শিমুলের।
‘শত্রু’ ছবিতে কেমন বাপ্পীকে পাবে দর্শক?
এ ছবিতে আমার নাম দুর্জয়, একজন পুলিশ অফিসার। তার কাজ হচ্ছে শত্রুকে দমন। সে আইস, ইয়াবা এ জিনিসগুলো থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখায় চেষ্টারত। ছবিতে দর্শকরা আমাকে রাফ অ্যান্ড টাফ রূপে দেখতে পাবে।
ট্রেলারের একটি ইংরেজি সংলাপ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। এটিকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখছেন?
এ জিনিসটা তো আমার উপর নির্ভর করে না, করে পরিচালকের উপর। কারণ এটা পরিচালকনির্ভর মাধ্যম। আমাকে আমার পরিচালক যেটা করতে বলেছে আমি করেছি। আমি তো পরিচালকের উপর পরিচালনা করতে পারি না। উনি হয়ত যৌক্তিক কারণে সংলাপটি রেখেছেন।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শক্রুর শুটিংয়ের কারণে আমি অন্য ছবির কাজ করতে পারি নাই। প্রায় দিনই রাত তিনটা চারটা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। বিভিন্ন জোনে জোনে কাজ করতে হয়েছে। যার কারণে বিশাল ইউনিটের সঙ্গে প্রতিনিয়ত জার্নির ধকল তো ছিল।
বেশ কয়েকবার তো শুটিং বন্ধ ছিল…
না, একবার খালি বন্ধ হয়েছিল। আমার মা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। পরে তো বন্ধ হয়নি। তখন নিয়মতান্ত্রিকভাবেই শুটিং হয়েছে।
সাত বছর পর ঈদে আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এত বছর কেনো পাইনি কেনো?
আমার ঈদে মুক্তি পাওয়া সবশেষ ছবি ছিল ‘হানিমুন’ ও ‘আই ডোন্ট কেয়ার’। ছবি দুটি বেশ ভালো ব্যবসা করেছিল। বিশেষ করে ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ তো বাম্পার হিট ছিল। এরপর ঈদে কেনো ছবি কেনো আসেনি এটা আসলে আমি জানি না।
এত বছরে ইন্ডাস্ট্রির অনেক হিসেব নিকেশ কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে। ঈদের ছবি অনেক মেরুকরণ হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাপ্পী কতটুকু আশাবাদী?
বাপ্পী শতভাগ আশাবাদী। যতটুকু দর্শক এখন আছে তারাই সিনেমাটা দেখবে। আমাদের তো হল অনেক কমে গেছে। আর ঈদে ৮টার মতো ছবি মুক্তি পাচ্ছে—ফলে দর্শক ভাগ হয়ে যাবে। আমি জানতে পারলাম আমার কিছু দর্শক ঢাকায় এসে ছবি দেখবে তাদের এলাকায় সিনেমা হল বন্ধ থাকায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ‘অভিসার’, ‘জোনাকি’ আমার স্টেশন ছিল—এখন বন্ধ। এরকম হাজারো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সেদিক থেকে তো একটু চাপ অনুভব হচ্ছে। আর আমার দর্শকগুলো অনেক জায়গায় ছবিটি দেখতে পাবে না। তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
‘আই ডোন্ট কেয়ার’ মুক্তির সময়ে ঈদে সব মিলিয়ে চার শতাধিক হলে ছবি চলত। কিন্তু এবার ১শ ২০টি হলে খুলবে কিনা সন্দেহ। সেখানে ৮/৯টি ছবি? কীভাবে এতগুলো ছবি ব্যবসা করবে?
যে প্রশ্নটা আপনি আমাকে করলেন সেটা আমারও। অবশ্যই সবগুলো ছবি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সিনেমা হলই যদি না থাকে ব্যবসাটা করবে কোথায়? তাছাড়া আমাদের দেশে বাণিজ্যিক ছবির জন্য সিনেমা হলের ব্যবসাটাই মুখ্য ছিল। এখন অনেকগুলো মাধ্যম আসছে ছবি দেখানোর। তবে প্রথম সপ্তাহে যদি ছবির রিপোর্ট ভালো হয়, পরের সপ্তাহে ছবিটা সিনেমা হলগুলো পিক করবে।
ঈদের দুসপ্তাহ পর থেকে হিন্দি ছবি চলবে হলগুলোতে। দুবছরে চলবে ১৮টি। খুব স্বাভাবিক একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন আপনারা। এরজন্য আপনি বা ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি কতটুকু প্রস্তুত?
পুরো ইন্ডাস্ট্রির কথা তো বলতে পারবো না। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা প্রস্তুত। আমাদের যদি ভালো বিনিয়োগকারী আসে তাহলে ওই ছবিগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে পারবো। ভালো ছবি দিতে পারবো। ওই ছবিগুলো আসা আমাদের কাছে খারাপ কিছু না। সরকার অবশ্যই বুঝে শুনেই অনুমতি দিয়েছে। কারণ এ বদ্ধ ঘরটায় (সিনেমা হল) দরকার দর্শক। ওদের ছবির বাজেট কিন্তু দুই চার শ কোটি টাকা। ওই ছবিটা আমরা অনেক কম বাজেটে বানাতে পারি। আমরা তামিল ভালো নকল করে অভ্যস্থ। সেক্ষেত্রে প্রতিযোগীতায় আমরা ভালো করবো, খারাপ করবো না।
সারাবাংলা/এজেডএস/এএসজি
‘প্রতিযোগীতায় আমরা ভালো করবো- খারাপ করবো না’ আহমেদ জামান শিমুল ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ বাপ্পী চৌধুরী বিনোদন সাক্ষাৎকার সিনেমা