গান-কবিতায় সমাজ সমীক্ষা সংঘের ‘বর্ষামঙ্গল’
১৭ জুন ২০২৩ ১৩:৩২
গান, নাচ ও কবিতায় বর্ষাবরণ করলো চট্টগ্রামের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষনাধর্মী সংগঠন ‘সমাজ সমীক্ষা সংঘ’। ১৬ জুন (শুক্রবার) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই আয়োজনে বর্ষা বন্দনায় জীর্ণ পুরানোকে পিছনে ফেলে নতুনের জয়গান গ্রহণের আহবান জানান কবি ও সাহিত্যিক কামরুল হাসান বাদল।
সমাজ সমীক্ষা সংঘের সভাপতি কাজী মাহমুদ ইমাম বিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ সমীক্ষা সংঘের নির্বাহী পরিচালক কল্লোল দাশ। উপস্থিত ছিলেন সমাজ সমীক্ষা সংঘের নির্বাহী সভাপতি দেবাশীষ রায়, যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ মিনহাজ, বর্ষামঙ্গল প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মিটু কুমার শীল, সদস্য সচিব পার্থ প্রতিম বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বের শেষে সমাজ সমীক্ষা সংঘের বর্ষামঙ্গল উপলক্ষ্যে প্রকাশিত সংকলন ‘সমবীক্ষণ’ বর্ষামঙ্গল সংখ্যা উম্মোচন করা হয়।
বর্ষা বন্দনায় কবি ও সাহ্যিতিক কামরুল হাসান বাদল বলেন, ‘জীর্ণ পুরানোকে পিছনে ফেলে নব কুড়ির মত জেগে উঠতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষা প্রেরণার ঋতু, বর্ষায় প্রকৃতি আমাদের ব্যর্থতার গ্লানি ভরা অতীত, হিংসা, হানাহানি ভুলে গিয়ে নতুনভাবে বাঁচার শিক্ষা দেয়। লোকসাহিত্যর আতুড়ঘর বর্ষা, নদীমাতৃক ও কৃষিপ্রধান এই দেশে বর্ষার অবসরে কৃষাণ-কৃষাণিরা রচনা করত বিভিন্ন লোক গল্প, গান, পুথিঁ ইত্যাদিও এবং এসব থেকে প্রেরণা নিত পরবর্তী কস্টকর এবং শ্রমসাধ্য কৃষিকাজের। সেই কৃষি প্রধান সংস্কৃতি থেকে সরে এসে আমরা আমাদের অতীত ভুলে গেছি। আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের সমৃদ্ধ কৃস্টি ও সংস্কৃতিকে। বর্ষা বরণের স্থান দখল করেছে বিভিন্ন কর্পোরেট দিবস। অতীত ভুলেছি বলেই আজ প্রশ্ন উঠে বিভিন্ন ঋতুভিত্তিক দিবস পালন ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত কিনা?’ তিনি নতুনের জয়গানের বলিয়ান হওয়ার আহবান জানান।
সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত শিল্পী বিটু শীল ও পূরবী বড়ুয়ার মনোমুগ্ধকর বর্ষার পরিবেশনা হল ভর্তি দর্শক উপভোগ করেন। তারা একে একে বর্ষার গান, প্রকৃতি বন্দনা, রবীন্দ্রনাথ শচিন দেববর্মন ও ডিএল রায়সহ পঞ্চ কবির গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে নৃত্য পরিবেশন করেন ওডিসি এন্ড টেগর ডান্স মুভমেন্টের শিল্পীবৃন্দ। দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী ও মুজাহিদুল ইসলাম। কবিতায় বর্ষা আবাহন করেন আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী। এরপর বর্ষার গান গেয়ে শোনান শিল্পী মিঠুন ঘোষ ও গানের দল বন্দর।
সারাবাংলা/আরডি/এএসজি