‘বেদের মেয়ে জোসনা’র আয় মাত্র ৭ কোটি টাকা!
২ আগস্ট ২০২৩ ২২:১৫
দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে অনেক বছর পর রেকর্ড ব্রেকিং ব্যবসা করেছে ‘প্রিয়তমা’। শাকিব খান অভিনীত ছবিটির ব্যবসাকে অনেকে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র সঙ্গে তুলনা করছে। বলছে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিটির চেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে শাকিব খানের ছবিটি। এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক তর্ক বিতর্ক চলছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞদের অভিমত, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’-কে অতিক্রম করা এত সহজ নয়। এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। একইসঙ্গে তিনি একটু ভিন্ন তথ্য জানালেন ছবিটির আয় নিয়ে।
তৎকালীন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর, দুই প্রযোজকের ওই সময়ের বক্তব্য, ছবিটির চিত্রনাট্যকার আলী আজাদের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকার সর্বত্রই বলা হচ্ছে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ২০ কোটি টাকার মত নেট আয় করেছে। কিন্তু জাজের আবদুল আজিজ বলছেন, ছবির প্রযোজকের নেট আয় মাত্র ৭ কোটি টাকা।
আবদুল আজিজের বাসায় বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কথা হয় এ প্রতিবেদকের। মূলত কথা উঠেছিল ২৫ আগস্ট মুক্তি পেতে যাওয়া ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ ছবিটির বাজেট নিয়ে। ঢালিউড ও হলিউডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির বাজেট বলা হচ্ছে ৮৩ কোটি টাকা। এর কতটুকুই বাংলাদেশের মার্কেট থেকে তুলে আনা সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে টেনে আনলেন ‘প্রিয়তমা’ ও ‘বেদের মেয়ে জোসনা’কে।
আজিজ বললেন, “বাংলাদেশে হয়তো বাজেটের ৫ শতাংশও উঠে আসবে না। আসলে তো ওতো বড় মার্কেট না, আমি ৮০ কোটি টাকা ব্যবসা করবো। বাংলাদেশে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র পরে কোনো ছবিই ৫ কোটি টাকার বেশি পায় নি। বেদের মেয়ে জোসনা সম্পর্কে আজকে জেনে রাখেন, ছবিটির প্রযোজকের শেয়ার (আয়) ছিল ৭ কোটি টাকা। আব্বাস ভাই (আব্বাস উল্লাহ) ও পিনু ভাই (মতিউর রহমান পিনু) প্রত্যেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা করে পেয়েছে। এটা পিনু ভাই নিজ মুখে আমাকে বলে গেছে।”
আবদুল আজিজের এ বক্তব্যে যে দুজনের নাম নিয়েছেন তারা উভয়ে এখন মৃত। যার কারণে এ বক্তব্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে আবদুল আজিজের এ বক্তব্যে এটা স্পষ্ট ‘প্রিয়তমা’ ব্যবসায়িক দিক থেকে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’কে ছাড়াতে পারে নি।
১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় মতিউর রহমান পানু পরিচালিত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’। শুরুতে ছবিটির ১৪টি প্রিন্ট করা হয়। কিন্তু মুক্তি দেওয়া যায় মাত্র ১১টি হলে। তবে ৪২ লাখে নির্মিত ছবিটি মুক্তির ৪র্থ দিন থেকে রেকর্ড ব্যবসা করতে থাকে। তখন দেশে চালু ১২শ হলে প্রায় সব কটিতে ছবিটি চলছে। অধিকাংশ হলে টানা তিন-ছয় মাস করে চলছে।
সারাবাংলা/এজেডএস