সালমান খানের নিরাপত্তায় কোটি টাকা দামের বুলেটপ্রুফ গাড়ি
১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১০
বেশ কিছুদিন আগেই খুনের হুমকির চিঠি পেয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান এবং তার বাবা সেলিম খান। সেই হুমকি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে সালমানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কিন্তু কেউ তাকে ফোন করে হুমকি দেয়নি প্রাণে মারবার, কারুর সঙ্গে তার শক্রুতা নেই- মুম্বাই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সে সময় এমনটাই জানিয়েছিলেন সালমান খান। এরপর ভাইজানের সুরক্ষায় কোনও খামতি রাখেনি মুম্বাই পুলিশ। জানা গেছে, শুধু প্রাণে মারার হুমকি চিঠিই নয়, শার্পশুটার দিয়ে অভিনেতাকে মেরে ফেলবার ছক কষেছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, এমনটাই উঠে এল তদন্তে। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই, আপতত তিহার জেলে বন্দি সে। কিন্তু তাতে কী! জেলে বসেই অন্ধকার দুনিয়ার রাজপাট চালাচ্ছে সে। এই গ্যাংয়ের পরবর্তী টার্গেট সালমান খান, তেমনটাই সূত্রের খবর।
সম্প্রতি সালমান ঘনিষ্ঠ ভারতীয় রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর আরও আঁটসাঁট নায়কের নিরাপত্তা। তবুও ঘুম উড়েছে ভাইজানের। নিলেন কড়া ব্যবস্থা। এর মাঝেই নতুন করে হুমকি এসেছে সালমান খানের নামে। মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হুমকি মেসেজ আসে, যাতে সালমান খানের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। নেওয়া হয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। বলা হয়েছে, টাকা না দিলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে সালমান খানের অবস্থা।
তাই বিষ্ণোই গ্যাং-এর হাত থেকে বাঁচতে এবার বড় পদক্ষেপ নিলেন সালমান খান। দুবাই থেকে নতুন একটি বুলেটগ্রুফ এসইউভি আমদানি করলেন ভাইজান। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনেছিলেন সালমান। সেই গাড়িতেই সর্বত্র যাতায়াত করতেন। তবে এবার বোধহয় নিজের পরিবারকে নিয়েও শঙ্কায় ভুগছেন নায়ক। সালমানের কেনা নয়া বুলেটপ্রুফ এসইউভি-তে রয়েছে একগুচ্ছ ফিচার্স। রয়েছে বম্ব অ্যালার্ট থেকে শুরু করে বুলেটও ভেদ করতে পারবে না, এমন কাঁচ দিয়ে তৈরি সেই গাড়ি। এই গাড়ির জন্য সালমানকে খরচ করতে হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি টাকা। যদিও ভাইজানের সুরক্ষার জন্য এটা অতি সামান্য।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর (শনিবার) রাতে পূর্ব বান্দ্রায় দশেরার বাজি পোড়াচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিও একজন বিধায়ক। তার দপ্তরের সামনেই ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। আচমকাই সেখানে হাজির হয় দুষ্কৃতীরা। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে। একাধিক গুলি লাগে বাবা সিদ্দিকির শরীরে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
ভারতীয় গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন এই গ্যাং এর আগে একাধিকবার সালমান খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সালমানের নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নিশানায় অভিনেতা। আর সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারনেই বাবা সিদ্দিকিকে খুন হতে হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।
সারাবাংলা/এএসজি
বলিউড ইডাস্ট্রি সালমান খান সালমান খানের নিরাপত্তায় কোটি টাকা দামের বুলেটপ্রুফ গাড়ি