নূপুর থেকে শাবনূর-এর স্বপ্নযাত্রা
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৭
তার নামের অর্থ রাতের আলো। আর সেই আলোর বিচ্ছুরণে আলোকিত হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশ। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি প্রায় দুই দশক ধরে নায়িকার চরিত্রে কাজ করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের নন্দিত এই অভিনেত্রী শাবনূর।
১৯৯২ – বরেণ্য নির্মাতা এহতেশাম বাংলা চলচ্চিত্রে নিয়ে এলেন সুন্দর মুখশ্রীর একটি মেয়ে, নাম তার নূপুর। কাকরাইলের সিনেমাপাড়া থেকে শুরু করে এফডিসি- সব জায়গাতেই এই কিশোরীকে নিয়ে আলোচনা। এরপর ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর মুক্তি পেল এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’। সেদিনের সেই নূপুর হাজির হলেন শাবনূর হয়ে। ছবিটি ব্যাবসাসফল না হলেও দর্শকদের নজর পড়লো এই ছবির কিশোরী নায়িকাকে। যার হাসি, সাবলীল অভিনয় আর কৈশোরের দুরন্তপনা দাগ কাটলো দর্শকের মনে। সেই দাগ চিরস্থায়ী হওয়ার সুযোগ পেল পরের বছরই। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহের বিপরীতে জুটি বাঁধলেন সেই কিশোরী। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পেলো জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’। ১৯৯৫ সালে সালমান শাহের সাথে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ যেন তার ক্যারিয়ার গ্রাফ বদলে দিল। রচিত হলো নতুন গল্প। সেদিনের নুপূর হয়ে উঠলেন বাংলার নায়িকা শাবনূর। সময়ের পালা বদলে তিনি কেবল নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন, হয়ে উঠেছেন দেশের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকাদের অন্যতম।
তিন দশকের বর্ণিল ক্যারিয়ার তার। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর সাথে গড়ে ওঠা তার জুটি শুধু জনপ্রিয়তার শীর্ষেই নয়, বলা যায় এখনো দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেয়। ২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া ছয়বার বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
১৭ ডিসেম্বর নন্দিত এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।
একসময় চলচ্চিত্রের পর্দায় প্রাণময়তা ধরে রেখেছিলেন শাবনূর। চলচ্চিত্রে যেন নতুন হাওয়ার ঝাপটা হয়ে এসেছিলেন। তিনি কেবলই এক গ্ল্যামারগার্ল ইমেজের মধ্যে সীমিত ছিলেন না। বিচিত্র ধরনের চরিত্রে ছিলেন সাবলীল। অভিনয় করেছেন এমন কিছু সিনেমায়, যার কারণে দর্শক তাকে যুগ থেকে যুগান্তরে মনে রাখবেন।
২০১৩ সাল থেকে চলচ্চিত্রে অনিয়মিত এই অভিনেত্রী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসজীবন পার করছেন।
দেখুন ভিডিও _
সারাবাংলা/এএসজি