বন্ধুকে দেখতে ছুটে গেলেন শাহরুখ
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৯
সাইফের সঙ্গে শাহরুখের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। ‘কাল হো না হো’র মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেছেন শাহরুখ ও সাইফ। তারপর থেকেই দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সাইফ-জায়া অর্থাৎ কারিনা কাপুর খানের সঙ্গেও একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন বলিউডের বাদশাহ। তাই বন্ধুর বিপদের খবর শুনেই তিনি সোজা হাসপাতালে।
অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, শাহরুখ তার সাদা রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়ি নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালের দিকে যাচ্ছেন। তবে শাহরুখের গাড়ির কালো গ্লাস একবারের জন্যও নামানো হয়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, লীলাবতী হাসপাতালের সামনে ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে শাহরুখের গাড়ির ছবি। যদিও ছবিশিকারিদের সামনে আসেননি শাহরুখ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এক মহিলা গৃহকর্মীর সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে সাইফের বাড়িতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় ওই ব্যাক্তিকে। সে সময়ই কোনও ভাবে সেখানে এসে পড়েছিলেন সাইফ। অভিনেতা প্রশ্ন তুলতেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে ওই দুষ্কৃতীকারী।তিনি তখন ঢুকে পড়েন ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে। বাধা দিতে যান সাইফ। তাতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ছেলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজে আহত হন সাইফ।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীকারী ঢুকে পড়ায় তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান সাইফ। সেই সময় বলিউড অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। পরিবারের কয়েক জন সদস্যও সেই সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। বাড়ির পরিচারিকাকে বাঁচাতে গিয়ে এমন সাহসী পদক্ষেপে অভিনেতার গুণগান গাইছেন অনুরাগীরা। ইতোমধ্যেই জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর বিপন্মুক্ত সাইফ। তবে তাকে এ মুহূর্তে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের কিছু পরে সাইফের সহযোগী দলের সদস্যদের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, “সাইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন তিনি বিপন্মুক্ত। এই মুহূর্তে তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন, চিকিৎসকেরা সব সময় নজর রাখছেন। পরিবারের সমস্ত সদস্য নিরাপদে রয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ সাইফ-করিনার বাড়ির কয়েক জন পরিচারককে আটক করেছে। মূলত, বাড়ির মেঝে পরিচর্যা করেন তারা।
বান্দ্রার এক বিলাসবহুল বহুতলের ১২ তলায় থাকেন সাইফ। সেখানেই বুধবার রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কী ভাবে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে বাড়ির ভিতর দুষ্কৃতীরা ঢুকে প়ড়ল তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বাই পুলিশ।
এর আগে আরও তিন জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বাই পুলিশ। তাদের মধ্যে ছিলেন বাড়ির এক পরিচারক, লিফটম্যান ও একজন নিরাপত্তারক্ষী। ১৫ জনের একটি দল গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করছেন মুম্বাই পুলিশ।
সারাবাংলা/এজেডএস