Thursday 30 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবি

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৮

রায়হান রাফি ও শাহরিয়ার শাকিল

প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন’। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষে সম্মেলনটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজনে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৫ শতাধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী, অভিনয়শিল্পীসহ চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত সকল অংশীজন।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির সভাপতি সাদমান শিহির আগামী ৩ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করার দাবি জানান। তাতে অংশ গ্রহণকারী সকলে সম্মতি জানান।

কেবল তথ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে চলচ্চিত্রের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে দাপ্তরিক জটিলতা বাড়ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

চলচ্চিত্র মন্ত্রণালয় গঠনের পাশাপাশি ‘চলচ্চিত্র সংস্কার কমিশন’ গঠনের মাধ্যমে অংশীজন প্রস্তাবিত সংস্কার, ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

সম্মেলনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের সংস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের গঠন পরিবর্তন, সিনেমা ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন, ই-টিকেটিং সার্ভার ও বক্স-অফিস, জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র, টিকিট শেয়ার মানি, চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রসার, গাজীপুর ফিল্ম সিটি, চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি উন্মুক্তকরণ, এন্টি-পাইরেসি সেল গঠন, চলচ্চিত্রে সরকারি বিনিয়োগসহ ১৮ এর বেশি সংস্কার, কর্ম প্রস্তাবনা এবং দাবি উপস্থাপিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, আমি ঘটনাচক্রে উপদেষ্টা হলেও আমি আসলে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র সংস্কারে এবং তাকে প্রাধান্য দিতে এখনও ব্যর্থ। যখন আমি শুধু একজন নির্মাতা ছিলাম, তখন আমিও সরকারকে দোষারোপ করতাম; তবে সরকারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে অনুধাবন করেছি যে প্রতিনিয়ত নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উপদেষ্টা হওয়ার পরও আমার ধারণা নেই যে, আমাদের দেশে কতোজন ক্রু আছে। আমিও বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিৎ। স্টেকহোল্ডারদের একটি নীলনকশা তৈরি করা উচিৎ, যার তত্ত্বাবধানে একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে; যা আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কারে প্রথম ধাপ হবে।

সারাবাংলা/এজেডএস

স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর