অর্থনৈতিক স্বাবলম্বনে বেড়েছে প্রান্তিক নারীর আত্মবিশ্বাস
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪৩
“একটা নৌকার একটা বৈঠা থাকলে সেই নৌকা ভালো চলে না, কিন্তু যদি দুটো বৈঠা থাকে তাহলে খুব ভালো চলে। তেমনি সংসার চালানোর কাজ দু’জন মিলে ভাগ করলে সংসারও ভালো চলে”, বলছিলেন কুয়াকাটার কলাপাড়া থেকে আসা কৃষক অনিতা বালা। মাত্র পাঁচ শতাংশ জমিতে স্বামী-স্ত্রী মিলে কৃষিকাজ করে সংসারের অভাব ঘুচিয়েছেন তারা। উৎপাদন করছেন গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বিটসহ নানা সবজি।
অনিতা জানালেন, টুকটাক কৃষিকাজ আগেও করতেন। কিন্তু তাদের এলাকায় পানির লবণাক্ততার কারণে উৎপাদনের হার ছিল অনেক কম। সল্ট সল্যুশন প্রকল্পের মাধ্যমে লবণাক্ত পানিতে সবজি উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নালা-বেড পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করে দেখছেন লাভের মুখ। মেয়ে পড়ছে বিএ অনার্সে আর ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
কলাপাড়া গ্রামের ‘লিড ফার্মার’ অনিতা বালাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় লবণাক্ত জমিতে নালা-বেড পদ্ধতিতে কৃষিকাজ শেখাচ্ছে ইকো (আইসিসিও) কো-অপারেশন। কথা হলো ইকো কো-অপারেশনের মাসুদ রানার সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুটো করে মোট চারটি জেলার আটটি উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন যাদের মধ্যে অনিতা বালার মত লিড ফার্মার আছে দুশো জন।’
ফরিদপুর থেকে এসেছেন ১২ জন প্রান্তিক পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তার একটি দল। মধুখালী থানার পাঁচটি আর ফরিদপুরের চারটি মিলিয়ে মোট নয়টি উপজেলায় একশন এইড থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন তারা। তারা এনেছেন বিষমুক্ত জৈব সার দিয়ে চাষ করা শাকসবজিসহ খেজুর গুড়ের পাটালি, পেঁপে, চরের বাদাম, ঘি, চানাচুর, দেশি মুরগির ডিম, পেঁয়াজ, মরিচ, নাড়ুসহ আরও অনেক কিছু। রয়েছে শাড়ি, গামছা, নকশিকাঁথা ইত্যাদি।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও নকশি কাঁথা ইত্যাদি একশন এইডের মাধ্যমে ঢাকায় বিক্রি করেন। দাম পড়ে পাঁচ থেকে পনেরো হাজার টাকা।
ফরিদপুরের প্রান্তিক পর্যায়ের এই নারীরা জানালেন, আগে তারা ঘরে বসেই সময় কাটাতেন। এখন নিজেরা অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি অন্য নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করেন। শুরু দিকে এইসব নারীদের পরিবার ও সমাজ থেকে নানারকম কথা বলত। কিন্তু একশন এইডসহ বিভিন্ন এনজিওর সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্য নারীদের বাইরে কাজ করা বিষয়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
তাছাড়া পরিবারে অর্থনৈতিক স্বাছন্দ্য আসায় এখন পারিবারিক চাপ নাই বললেই চলে। তাহমিনা সুলতানা জানালেন, এখন তাদের এলাকায় নাকি উল্টো বলে, ‘অমুকের বউটা এতো অ্যাডভান্স যে সংসার করেও কত টাকা আয় করছে।’
অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বদলে দিয়েছে তাদের সামগ্রিক জীবন। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বেড়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফিরোজা বেগম জানান, কিছুদিন আগে সাত লাখ টাকা খরচ করে পাকা ঘর বানিয়েছেন। আগে থাকতেন কুঁড়েঘরে। তিনি বললেন, তাদের গ্রামের প্রায় সব মেয়ে এখন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। আগে মাসিকের সময় ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করতেন। এনজিও কর্মীরা তাদের বুঝিয়েছেন যে এটা কতটা অস্বাস্থ্যকর।
এছাড়াও শিখেছেন, স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করার পদ্ধতি, জানেন জরায়ুমুখ ক্যানসারের বিষয়েও। এখন তারাই গ্রামে গ্রামে ঘুরে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অন্য নারীদের সচেতন করার কাজ করেন, স্কুলে স্কুলে যেয়ে মেয়েদের স্যনিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের উপকারিতা নিয়ে বলেন, বিক্রি করেন। এই নারীরা একত্রে মিলে বন্ধ করেছেন মাদক, বাল্যবিবাহসহ নানা সামাজিক ব্যাধি।
আত্মপ্রত্যয়ে ঝলমল এই নারীরা জানালেন, তারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি অন্যদের সচেতন করতে কাজ করছেন। এভাবে বদলে গেছে তাদের জীবন যা আগে চিন্তাও করতে পারতেন না।
কেঁচোর মাধ্যমে ভার্মি কমপোস্ট সার উৎপাদন করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন খুলনার বঠিয়াঘাটার ঝড়ভাঙ্গা গ্রামের তন্বী গোলদার। বাংলাদেশে শুধু গ্রামই নয়, অনেক শহুরে মেয়েকেও অল্প বয়সে বিয়ে করার চাপের মুখে থাকতে হয়। কৃষিতে ডিপ্লোমা শেষ করার পর তন্বীর উপরও বিয়ের চাপ ছিলো। কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনড় তন্বী স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন। শুরু থেকেই পাশে পেয়েছেন মাকে। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশীর মতো তন্বীর বাবাও ছিলেন কিছুটা বিরূপ।
তবে মেয়ের প্রথম উপার্জনের টাকা হাঁতে পেয়ে বদলে যায় বাবার মন। এখন বাবা ও মায়ের সহযোগিতায় জৈব সার ও ইউরিয়ামুক্ত মুড়ি ও চিড়া বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তন্বী। জানালেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন করে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। বাড়িতে এসে আশপাশের গ্রামের কৃষকরা সার কিনে কিনে নিয়ে যান। তন্বী জানালেন, তার আন্ডারে এখন একশ জন নারী কাজ করছেন। সবার খরচ দিয়ে মাসে অন্তত পনেরো হাজার টাকা লাভ থাকে তার।
বরগুনার খেজুরতলা থেকে এসেছেন নারী উদ্যোক্তা নিহার বেগম। তিনি ডাল ও ধানের রাখী মালের ব্যবসা করেন। খুচরা পাইকারি (যাদের বেশিরভাগই নারী) ব্যবসায়ীদের থেকে অল্প পরিমাণে চাল ডাল কিনে পরে বিক্রি করেন তিনি। এই ব্যবসার চিন্তা কীভাবে আসল জানতে চাইলে নিহার বেগম জানান তার মাকে দেখে শিখেছেন। ছোটবেলায় তার মাকে দেখতেন এভাবে ধান ও চাল জমিয়ে বাড়ির জন্য এটা সেটা কিনতে।
বিয়ের পর নিতান্ত একজন গৃহবধূ হয়ে থাকতে চাননি তিনি। তার স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। আর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গ্রামে একাই থাকতেন। সংসার খরচের টাকা জমিয়ে প্রথমবারের মতো ব্যবসা শুরু করে এখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিহার বেগম। জানালেন সংসারে অর্থনৈতিক অবদান রাখায় বেড়েছে মর্যাদা ও বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।
আউড়ি, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রীর স্টলে দেখা গেল শাড়ি, জামা-কাপড়, গামছা, চাল, ডাল, মশালাপাতিসহ নানা জিনিস। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল এখানে রয়েছে সিরাজঞ্জের তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গি আর গামছা। লালমনিরহাটের কুরসি কাটার কোটি, বিছানার চাদর, মশারির কাভার আর নকশিকাঁথা। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা হাঁতে বোনা ওড়না। রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থেকে জামদানি। এছাড়াও রয়েছে লাল চাল, ডাল, চিড়া, মুড়ি, গুড়া মশলা যা আসে দিনাজপুর থেকে। আর তাজা সবজিগুলো এসেছে লালমনিরহাট, গাইবান্ধা এবং সাতক্ষীরা থেকে। আউড়ি’র নিজস্ব শো রুম আছে গুলশান ১-এ, যেখানে গ্রাম থেকে আসা কাঁচামাল দিয়ে তৈরি খাবার বিক্রি হয়।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে একদল নারী এসেছেন নানারকম কৃষিজ ও রান্না করা খাবার নিয়ে। এখানে দেখা গেল নুনিয়া পিঠা, নকসী পিঠা, তেল পিঠা (ঝাল), তিলের নাড়ু, কয়েকরকম নাড়ু ও মোয়া, ক্ষইয়ের মোয়া, টমেটোর চাটনি, গাজরের হালুয়া, কয়েকরকম আচার, পায়েস, রস পিঠা, দেশি হাঁস ও মুরগির ডিম, শসা, গাজর, ফুলকপি, রসুন, পেঁয়াজ, টমেটো, পেঁপে, লেবু, করলা, দেশি হলুদের গুঁড়া, মুরগির ডাবল কুসুম ডিমসহ নানা কিছু। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই নারীরাও জানালেন তারা আগে কিছু করতেন না। এখন নিজেদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও খাবার বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তারা।
পুরান ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নারী মৈত্রীর একটি স্টলে দেখা গেল কিছু তরুণী উদ্যোক্তা। লেভারেজ ও ব্লুম এন্ড বিউটি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে। টেবিলে সাজানো দেখা গেল, খাঁটি নারকেল তেল, হাতে বানানো পুঁতির ব্যাগ, কলমদানিসহ নানা ধরণের প্রসাধনী সামগ্রী। দুটি প্রতিষ্ঠানই ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে থাকেন।
কথা হল লেভারেজ পেইজের উদ্যোক্তা অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ইলমা ও সোনিয়া এবং অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া কনা এসেছেন সূত্রাপুর থেকে। লেভারেজে এরকম ছাত্রী আছেন আরও নয় জন। বিদেশ থেকে আসা প্রসাধন সংগ্রহ করা, পেইজের মাধ্যমে অর্ডার নেওয়া আর বিতরণের কাজটা নিজেরাই করেন তারা। একই ধরণের কাজ করেন ব্লুম এন্ড বিউটির মাহমুদা রহমানের সঙ্গে। অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া মাহমুদা গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা। তারা দুই বোন আর একজন সহযোগী মিলে পেইজ চালান। তারা সবাই আয় করে পড়াশোনায় ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি পরিবারকেও সাহায্য করছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে বললেন, তারা প্রত্যেকেই উদ্যোক্তা হতে চান। এখন জারা করপোরেশনের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য আনেন। ভবিষ্যতে নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে নিজেদের স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান গড়তে চান।
ন্যাশনাল কলোকুইয়াম অন মার্কেট সিস্টেম ফর উওমেন অ্যাগ্রো-এন্টারপ্রেনিয়ার্স নামের একটি অনুষ্ঠানে দেখা মিলল দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত বিভিন্ন বয়সী এই নারীদের।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলোশানের ইমানুয়েল ব্যাঙ্কুয়েট হলে এই আয়োজনে দেশব্যাপি প্রান্তিক নারীদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন এনজিওর কার্যক্রম নিয়ে আলাদা আলাদা সেশসের পাশাপাশি চলছে গ্রামীণ নারীদের উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রি।
আয়োজনটির উদ্যোক্তা একশন এইড। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ভিশন, এইডিআই/ভোকা, হ্যালবেটাস বাংলাদেশ, ইকো কো-অপারেশনসহ আরও কয়েকটি দেশি ও বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সকাল দশটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর শীত ও শীতের পিঠার এই উৎসবে সবাইকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘একশন এইড বাংলাদেশ পরিচালিত এমএমডাব্লিউডাব্লিউ (মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর উওমেন) প্রোগ্রামের আন্ডারে চার বছর ধরে বাংলাদেশের নানা জেলার প্রান্তিক নারীরা কাজ করছেন। তাদের এগিয়ে আসায় ও সচেতন হওয়ায় অভিন্দন জানান। তিনি বলেন, এই নারীরা এগিয়ে আসলেও এখনও গ্রামীণ বাজারব্যবস্থা নারীবান্ধব নয়। নারীদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির লভ্যাংশ যেন তাদের হাতেই আসে সেটা নিশ্চিত করতেই কাজ করছেন তারা।’ সেই সঙ্গে নারীদের নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়েও প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেন তারা।
একশন এইডের এমএমডাব্লিউডাব্লিউ প্রোজেক্টের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. মোহাম্মদ শওকত আকবার ফকির বলেন, ‘বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছেন এমন সংগঠনগুলো একসঙ্গে এই আয়োজন করেছেন। নিজেদের কাজ, বাঁধা, অপ্রাপ্তি ইত্যাদি অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে আরও কী কী কাজ করা যায় সেই দিক-নির্দেশনাও বের হয়ে আসবে এখান থেকে। দক্ষিণ অঞ্চলের একজন নারী উত্তরবঙ্গের একজন নারীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ও নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারছেন।’ এভাবে নারীদের অভিজ্ঞতা ও কর্মস্পৃহা বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
গ্রামীণ পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার মূল সমস্যা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রামের বাজার মূলত পুরুষতান্ত্রিক। সেখানে পণ্যের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই পুরুষ। এমনকি নারীর উৎপাদিত পণ্যও পুরুষরাই বিক্রি করেন ও টাকাটাও তারাই খরচ করেন। এভাবে পিছিয়ে পড়ে নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জন। তাই তারা এখন এলাকাভিত্তিক নারীবান্ধব বাজার তৈরিতে কাজ করছেন যেখানে নারীরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পান। সেখানে রয়েছে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের সুবিধা।
উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিশনের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক টনি এম গোমেজ বলেন, ‘আজকের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো, নারীর ক্ষমতায়নের পথে বাধা কী সেটা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খোঁজা। তাদের সবার মিলিত উদ্দেশ্য নারীরা যে যাই উৎপাদন করুক সেটা বিক্রির টাকা তারা নিজেরা খরচ করার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন হোক।’