সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারী সামরিক শাখার যাত্রা
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:১৬
প্রথমবারের মতো নারী সামরিক শাখা চালু করেছে সৌদি আরব। দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবকে আধুনিক করার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তারই অংশ হিসেবে এই শাখাটি চালু করা হলো।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত রীমা বন্দর আল সৌদ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এ ঘোষণা দেন। ‘সৌদি আরবের প্রথম নারী সামরিক শাখা চালু হলো’,— টুইট করেন তিনি।
নারীদের জন্য আলাদা সামরিক শাখা গঠনের মাধ্যমে সৌদি রাজকীয় সশস্ত্র বাহিনীর স্থলবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগ, কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগ এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসা সেবা বিভাগে এখন সৌদি নারীদের যোগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। এসব বাহিনীতে ল্যান্স করপোরাল, করপোরাল, সার্জেন্ট ও স্টাফ সার্জেন্ট হিসেবে তারা নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে নারীদের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। ওই সময় স্থানীয় একটি পত্রিকা জানিয়েছিল, রাজ্যটির একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার মাধ্যমে নতুন একটি শাখা চালু হবে।
ঐতিহাসিকভাবেই সৌদি আরব রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে নারীদের কাজের সুযোগ ছিল একেবারেই সীমিত। তবে যুবরাজ সালমান ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন, যার মাধ্যমে দেশটির রক্ষণশীল রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার আনার পরিকল্পনা হাতে নেন তিনি। এরই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ছিল নারীদের জন্য আরও বেশি কর্মক্ষেত্র তৈরি করা।
ওই ভিশন ঘোষণার পরই সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়, একা ভ্রমণের অনুমতিও পান সৌদি নারীরা। বিমানচালনা নিরাপত্তা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রকের চাকরিতেও নারীদের নিয়োগ শুরু হয়। একই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এতদিন পুরুষরা যেসব খাত নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন, সেসব খাতে নারীদের নিয়োগ দিতে শুরু করে সৌদি আরব। দেশটির সীমান্তে নারীদের নিয়োগ এর সাম্প্রতিক উদাহরণ।
২০১৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নারী পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নারী সামরিক শাখা সামরিক শাখা সৌদি আরব সৌদি রাজকীয় সশস্ত্র বাহিনী