কয়েকদিন থেকে টানা বৃস্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখনই মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, তখনই ইন্টারনেট সংযোগ ধীর হয়ে যায়। এ সমস্যা যেন আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন টিভি শো স্ট্রিম করতে বা ভিডিও কলে কথা বলার সময়।
এই রিপোর্টে জেনে নেই, বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যাবে কারণ ও সমস্যা সমাধানে করণীয়-
ইন্টারনেটের গতি কমে যাবে কারণ …
নানা কারণে বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়, এর মূল কারণ হতে পারে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি। কারণ প্রবল বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে টেলিফোনের খুঁটি ও তারসহ অন্যান্য নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ফলে সংযোগে সমস্যা বা পুরোপুরি বিচ্ছিন্নতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া বাইরের বৈদ্যুতিক সংযোগে পানি ঢুকে পড়লে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সেসঙ্গে আপনার ওয়াই-ফাই সিগন্যাল যদি আগে থেকেই দুর্বল হয়, তাহলে খারাপ আবহাওয়ার সময় এর প্রভাব আরও বেশি গতি কমে যায়। আর অনেক সময় দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে বেশি মানুষ যখন ঘরের ভেতরে থাকে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ে, তখন অতিরিক্ত চাপে সংযোগ ধীর হয়ে যেতে পারে।
তবে যারা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের বিষয়টি আরো ভিন্ন। কারণ ডেটা মাটির নিচে চাপা তারের পরিবর্তে বাতাসের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে। ফলে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও বৃষ্টির কারণে সিগনাল দুর্বল হয়ে পড়ে- এই ঘটনাকে বলা হয় “রেইন ফেড” (Rain Fade)। তাছাড়া স্যাটেলাইট ডিশ খোলা আকাশে থাকে, তাই ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতেও সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সমস্যা কি শুধু ওয়াই-ফাই?
বৃষ্টির সময় সমস্যা আপনার ঘরের ওয়াই-ফাই রাউটারেও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে আসা সিগনালই দুর্বল হয়ে যায়, যেটার দায় ISP-এর উপর থাকলেও আবহাওয়া ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছু করতে পারে না।
সমস্যা সমাধানে করণীয়
* ব্যান্ডউইথ খালি করুন: একসঙ্গে অনেক ডিভাইস যুক্ত থাকলে ইন্টারনেট ধীর হতে পারে। রাউটারের QoS (Quality of Service) সেটিংস ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অ্যাপ বা ডিভাইসকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। চাইলে মেশ ওয়াই-ফাই সিস্টেম কিনেও সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
* রাউটারের সঠিক স্থান: রাউটার জানালার পাশে বা দেয়ালের কাছে থাকলে সিগনাল দুর্বল হয়। চেষ্টা করুন রাউটারকে ঘরের কেন্দ্রে রাখার বা নিজে রাউটারের কাছে গিয়ে নেট ব্যবহার করার।
* ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করুন: আপনার রাউটার যদি ডুয়াল ব্যান্ড হয়, তবে ২.৪GHz ব্যান্ড ব্যবহার করুন, কারণ এটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ভালো কাজ করে। যদিও এতে গতি কিছুটা কমে যায়।
* রিস্টার্ট করা: পুরোনো কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি- মডেম বা রাউটার ১ মিনিটের জন্য বন্ধ করে আবার চালু করুন।