প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে একেবারেই পাল্টে দিয়েছে। বর্তমান স্মার্টফোনগুলোতে এমন সব এআই টুলস রয়েছে, যা যোগাযোগকে আগের চাইতে অনেক সহজ করে তুলেছে। এমনকি গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ফ্রিজ কিংবা ওয়াশিং মেশিনের মতো যন্ত্রপাতিতেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে, এ অনুষঙ্গগুলো একইসাথে যেমন আগের চেয়েও অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও টেকসই সেবা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সংবলিত এসব ডিভাইস এখন সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে আমাদের জীবনকে বিভিন্নভাবে সহজ করে তুলছে।
একটা সময় ছিলো যখন টেলিভিশন মানেই ছিল ভারী বাক্স আকৃতির সিআরটি সেট। আর চ্যানেলও ছিল একটি। বিটিভি-তে তুলনামূলক স্পষ্ট ছবি দেখতে বারবার ছাদে উঠে অ্যান্টেনা ঠিক করতে হতো। কিন্তু এখন আমরা যে টিভির বহুমুখী কার্যক্রম দেখি, তা হচ্ছে গত দুই দশকে প্রযুক্তির নিরন্তর উন্নতির ফল। বর্তমান সময়ে টিভি ব্যবহার হচ্ছে কর্পোরেট উপস্থাপনা, অফিসের অনলাইন মিটিং, এমনকি স্কুলের শিক্ষাদানের কাজেও।
তবে এআই প্রযুক্তি আর কীভাবে স্মার্ট টিভিগুলোতে নতুনত্ব আনতে পারে কিংবা আমাদের টিভি দেখাকে কীভাবে আরও আরামদায়ক ও আনন্দের করতে পারে? সব ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন তো হয়েই গেছে। না, নতুন নতুন এআই প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে আমাদের টিভি দেখা ও ব্যবহারের ধারণাকে।
ইতোমধ্যে টেলিভশনে এআই প্রযুক্তির বদৌলতে পিকচার ও সাউন্ড আপস্কেলিং ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে পুরানো কিংবা তুলনামূলক নিম্নমানের কনটেন্টও (প্রযুক্তিগত দিক থেকে) স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, এআই প্রযুক্তি সম্বলিত টিভিতে রয়েছে নয়েজ রিডাকশন সুবিধা, যার ফলে অডিও ডেলিভারিও হচ্ছে চমৎকার। তাই, টিভিতে অনেক পুরানো ভিডিও ছাড়লেও, তা উপভোগে তৈরি হবে না কোন অস্বস্তি।
সেসঙ্গে, এআই ফিচার সূক্ষ্মভাবে স্ক্রিনের রঙ ও স্বচ্ছতায় দারুণ সামঞ্জস্য আনে, যার ফলে ছবির স্বাভাবিকতা হারায় না, মান থাকে একেবারে অক্ষুণ্ণ।
এআই টিভির আরও একটি চমৎকার দিক হলো, পারসোনালাইজড কনটেন্ট ফিচার। এ ধরনের টিভিতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কনটেন্ট এবং সেই অনুযায়ী অনুষ্ঠান ও সিনেমার তালিকা তৈরি করে নেয়ার সুবিধা রয়েছে। আর ব্রাইটনেস কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্যের কারণে ঘরের আলো অনুযায়ী টিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উজ্জ্বলতা ঠিক করে নেয় এবং অন্ধকার বা আলোকিত যেকোনো পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে টিভিতে পছন্দের অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়।