হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টেক্সট পাঠিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতারণার অভিযোগে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে মেটা।
মেটার তথ্য অনুযায়ী, এসবের মধ্যে অনেক অ্যাকাউন্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচালিত সংগঠিত অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই চক্রগুলো মানুষকে জোরপূর্বক প্রতারণার কাজে বাধ্য করত।
মেটা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ নতুন অ্যান্টি-স্ক্যাম ব্যবস্থা চালু করেছে। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রতারণামূলক কার্যকলাপের বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি ব্যবহারকারীর কনটাক্টে না থাকে অথচ তাকে গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত করে, তাহলে সে বিষয়ে সতর্কবার্তা দেখানো হবে।
এই পদক্ষেপ বিশেষত সেই কৌশলকে লক্ষ্য করেছে, যেখানে অপরাধীরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট চুরি করে বা তাদের কোনো গ্রুপ চ্যাটে যোগ করে এবং সেখানে ভুয়া বিনিয়োগ বা অন্য কোনো প্রতারণা কার্যক্রম চালায়।
মেটা বলেছে, হোয়াটসঅ্যাপ আগে থেকেই সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করেছে, যাতে প্রতারণার কাজ শুরু না হতে পারে।
মেটা সতর্ক করে বলেছে, ‘প্রতিশ্রুত অর্থ বা আয়ের জন্য আপনাকে যদি আগে থেকে অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়, সেগুলো একধরনের ফাঁদ হয়ে থাকে।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যেমন: মিয়ানমার, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের এ ধরনের প্রতারণা সেন্টার কোটি কোটি ডলারের প্রতারণা করে।
এই সেন্টারগুলো প্রায়শই মানুষকে নিয়োগ দেয় এবং তাদের জোরপূর্বক প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে।
এ অঞ্চলের মানুষকে সম্ভাব্য প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং হোয়াটসঅ্যাপের টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের মতো অ্যান্টি-স্ক্যাম ব্যবস্থা ব্যবহার করে তাদের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।