ভিয়েতনামের কুয়াং বিন প্রদেশের লক নিন কমিউনের বাসিন্দা বুই তি লোইয়ের জীবন যেন এক রহস্য। মাত্র পনেরো বছর বয়সে আহত সৈন্যদের সহায়তা দিতে গিয়ে তিনি বজ্রাঘাতে আক্রান্ত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই তার শরীর আর খাবার গ্রহণে সাড়া দেয় না। খাবারের গন্ধেই বমি ভাব হয়— ফলে তিনি ধীরে ধীরে শুধু পানি ও হালকা সফট ড্রিংকের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেন।
অবিশ্বাস্য টিকে থাকা
বছরের পর বছর কোনো খাবার না খেয়ে বেঁচে আছেন— এমন দাবিই করেন বুই তি লোই। তার বাড়িতে এখনো রান্নার কোনো চিহ্ন নেই, আছে শুধু বোতলজাত পানি ও সফট ড্রিংক। আশপাশের মানুষও বিস্মিত— কেউ কেউ এই ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন, আবার কেউ ভাবছেন এটি হয়তো মানসিক বা শারীরবৃত্তীয় কোনো বিরল অবস্থা।
সাধারণ জীবনে অসাধারণ নারী
খাবার না খেলেও থেমে নেই বুই তি লোইয়ের জীবন। স্থানীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন নিয়মিত। শান্ত মুখে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু পানি খেলেই তৃপ্তি পাই।’
বিজ্ঞানের চোখে রহস্য
পুষ্টিবিদদের মতে, এত দীর্ঘ সময় কোনো খাদ্য ছাড়াই বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। তবে বুই তি লোইয়ের শরীর কেমনভাবে এ অবস্থায় খাপ খাইয়ে নিয়েছে, তা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।
শেষ কথা
যুদ্ধবিধ্বস্ত জীবনের ভেতর থেকে উঠে আসা এই নারীর গল্প মানব শরীরের সীমা আর মানসিক শক্তির অজানা সম্ভাবনার প্রতীক।
(সূত্র: SheThePeople, Vietnam.vn, BoingBoing.net)