Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ন্যাশনাল কটন ক্যান্ডি ডে
আজ ‘কটন ক্যান্ডি’র রঙিন জাদুর দিন

ফারহানা নীলা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৬

ভাবুন তো— মেলায় ঢুকতেই হাওয়ার মতো হালকা গোলাপি একটা মেঘ আপনার দিকে ভেসে আসছে। একটা কাঠির মাথায় মেঘ! আপনি হাত বাড়ালেন, আর মেঘটা মুখে দিলেই জ্যাপ!— মুহূর্তেই গলে গেল। মনে হলো, যেন শৈশবের প্রথম বিস্ময়টাই আবার ফিরে এলো। হ্যাঁ, সেই জাদুময় গোলাপি মেঘেরই আজ বিশেষ দিন— ন্যাশনাল কটন ক্যান্ডি ডে, যা উদযাপিত হয় প্রতি বছর ৭ ডিসেম্বর।

এবার চলুন, ক্যান্ডির এই ‘মেঘময়’ জগতে ঢুঁ মেরে আসা যাক।

কটন ক্যান্ডির জন্ম— বিস্ময়কর কিন্তু সত্যি!

আপনি কি জানেন, এই খেলনা-মতো মিষ্টির আবিষ্কারক ছিলেন… একজন দন্তচিকিৎসক! ১৮৯৭ সালে আমেরিকান ডেন্টিস্ট উইলিয়াম মরিসন এবং কনফেকশনার জন সি. ওয়ার্টন মিলে যন্ত্র তৈরি করেন, যা শর্করাকে গরম করে সূক্ষ্ম সুতোয় পরিণত করতে পারে। সেই থেকেই কটন ক্যান্ডির যাত্রা শুরু।

বিজ্ঞাপন

শিশুরা তখন মুখ হা করে তাকিয়ে থাকত— শর্করা সুতো হয়ে মেঘ বানাচ্ছে! আর বড়রাও চুপিচুপি একটা করে কিনে নিত। কারণ, কে আর মিছরি-মেঘের লোভ সামলাতে পারে?

নাম কেন ‘Cotton Candy’?

আগে এটাকে বলা হতো Fairy Floss—এমন নাম শুনলে মনে হয় কোনো রূপকথার পরিরা বানাচ্ছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রে এর নাম হয় Cotton Candy, কারণ এটা দেখতে রহস্যময় তুলোর মতো।

বাংলাদেশে ‘তুলা মিষ্টি’!

মেলার প্রাণ—এই তুলো মিষ্টি। গ্রামে হোক বা শহরে— মেলা মানেই কটন ক্যান্ডির স্টল। এক গুঁড়ো চিনি, সামান্য রং আর একটা ঘূর্ণায়মান মেশিন— এর মধ্যেই যেন লুকিয়ে থাকে ফুরফুরে আনন্দ। বাচ্চারা গোলাপি চাই, কিশোরীরা নীলটা, আর বড়রা ‘একটা ছোটটা দিন’ বলে নিলেও পরে সেটা অর্ধেকও থাকে না!

মজার বিজ্ঞানে কটন ক্যান্ডি

কটন ক্যান্ডি এত হালকা কেন? কারন, চিনির কণা গলে তার ভেতরকার পানি বাষ্প হয়ে যায়। এরপর মেশিনের জোরে সেটা সুপার-পাতলা সুতোয় পরিণত হয়— একটা ব্যাগ ভর্তি তুলা মিষ্টিতেও থাকে খুব সামান্য চিনি। তাই এত বড় দেখালেও ওজন প্রায় নেই বললেই চলে।

৭ ডিসেম্বর কেন?

যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসে উৎসবের মৌসুম— ক্রিসমাস মার্কেট, উইন্টার কার্নিভাল, পারিবারিক আড্ডা সবই জমজমাট। তাই ৭ ডিসেম্বরকে বেছে নেওয়া হয় মজার এই মিষ্টির আলাদা ‘উৎসবের দিন’ হিসেবে। এদিন অনেক জায়গায় বিশেষ কটন ক্যান্ডি স্টল, নতুন ফ্লেভার, রঙের পরীক্ষা—সব মিলিয়ে এক রঙিন উৎসব।

আজকে উদযাপন করবেন কীভাবে?

একটা গোলাপি, নীল বা বেগুনি কটন ক্যান্ডি কিনে ফেলুন। বাচ্চাকে নিয়ে মেলার মতো একটা ছোট্ট মুহূর্ত তৈরি করুন। ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিতে পারেন: #CottonCandyDay

চাইলে ঘরেও বানানো যায়— অবশ্য এর জন্য যন্ত্র চাই। কিন্তু না থাকলে ‘চিনির মেঘ’ বাড়িতেও বানানো বেশ কঠিন!

শেষ কথা

কটন ক্যান্ডি শুধু একটা মিষ্টি নয়—এটা শৈশব, স্মৃতি, উৎসব আর ছোট্ট আনন্দের প্রতীক। ৭ ডিসেম্বরের এই দিনটা আমাদের মনে করিয়ে দেয়— জীবন যতই ব্যস্ত হোক, মাঝে মাঝে একটু তুলোর মিষ্টির মতো হালকা হওয়াটা দারুণ জরুরি।

শুভ ন্যাশনাল কটন ক্যান্ডি ডে!

বিজ্ঞাপন

আরো

ফারহানা নীলা - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর