বর্তমান সময় জিমেইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে জিমেইল ব্যবহারকারীদের প্রায়ই স্টোরেজ’এর ঝামেলা পোহাতে হয়। কেননা জিমেইলের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ ই–মেইল পাঠানো বা গ্রহণে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি জিমেইলের বিভিন্ন সুবিধাও ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় না। আবার নির্ধারিত স্টোরেজের বেশি জায়গা ব্যবহার করতে চাইলে গুগল অতিরিক্ত অর্থ নেয়। তবে সামান্য সচেতনতা ও কিছু কৌশল মেনে চললেই বিনা খরচে জিমেইলের স্টোরেজ খালি করা সম্ভব।
আসুন জেনে নেই জিমেইলের জায়গা খালি রাখার কিছু সহজ উপায়…
* ট্র্যাশ ও স্প্যাম ফোল্ডার খালি করা:
ই-মেইল মুছে ফেললেও তা সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ীভাবে ডিলিট হয় না। ট্র্যাশ ও স্প্যাম ফোল্ডারে এসব ই-মেইল ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে এবং এই সময়েও স্টোরেজ দখল করে রাখে। তাই নিয়মিত ট্র্যাশ ও স্প্যাম ফোল্ডার খালি করা জরুরি।
* বড় অ্যাটাচমেন্টযুক্ত ই-মেইল মুছে ফেলুন:
ই–মেইলের সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে থাকে বড় অ্যাটাচমেন্ট। অপ্রয়োজনীয় ফাইলসহ ই–মেইল মুছে দিলে সহজেই অনেক জায়গা খালি হয়। জিমেইলের সার্চ বক্সে has:attachment larger:10M লিখলে ১০ মেগাবাইটের বেশি আকারের ই–মেইলগুলো একসঙ্গে দেখা যাবে।
* নিউজলেটার ও প্রমোশনাল ই–মেইল আনসাবস্ক্রাইব করুন:
প্রমোশনস ট্যাবে জমে থাকা বিজ্ঞাপন, অফার ও নিউজলেটার অপ্রয়োজনে স্টোরেজ ভরে ফেলে। একই ধরনের ই–মেইল বারবার এলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাবস্ক্রিপশন বাতিল করা উচিত।
* গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার ব্যবহার:
গুগল ওয়ানের স্টোরেজ ম্যানেজারের মাধ্যমে এক জায়গায় জিমেইল, গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোসের স্টোরেজ ব্যবহারের চিত্র দেখা যায়। কোন ফাইল বা ই–মেইল বেশি জায়গা দখল করছে তা শনাক্ত করে সহজেই মুছে ফেলা যায়।
* বড় ফাইল পাঠাতে ক্লাউড লিংক ব্যবহার:
বড় ছবি বা ভিডিও সরাসরি ই–মেইলে পাঠালে স্টোরেজ দ্রুত ভরে যায়। এর পরিবর্তে গুগল ড্রাইভ বা অন্যান্য ক্লাউড সার্ভিসে ফাইল আপলোড করে লিংক শেয়ার করলে জিমেইলের জায়গা বাঁচে।