একেবারে বিনামূল্যে ঘরে পড়ে থাকা পুরোনো স্মার্টফোনটিকেই একটি কার্যকরী সিসিটিভি ক্যামেরায় রূপান্তরিত করা সম্ভব। আর এজন্য আলাদা কোনো দামি যন্ত্রের প্রয়োজনও পড়ছে না। কয়েকটি সহজ ধাপ সম্পন্ন করেই বাড়িতে একা থাকা স্ত্রী-সন্তান, বয়স্ক বাবা-মা, বা গৃহকর্মীর কাছে থাকা সন্তান বা পোষা প্রাণীর ওপর নজর রাখা সম্ভব।
আসুন জেনে নেই পুরোনো স্মার্টফোনকে সিসি ক্যামেরা বানানোর কিছু উপায়:
* এই পদ্ধতিতে প্রয়োজন হবে দুটি মোবাইল ফোন। একটি পুরোনো স্মার্টফোন, যেটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার হবে। আর একটি বর্তমান স্মার্টফোন, যেটি দিয়ে আপনি লাইভ ভিডিও দেখবেন। দুই ফোনেই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে এবং একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
* এরপর ক্যামেরা অ্যাপ ইনস্টল করুন। এজন্য পুরোনো ফোনকে নিরাপত্তা ক্যামেরায় রূপ দিতে অ্যাপ স্টোর থেকে একটি থার্ড পার্টি সিকিউরিটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মেই এ ধরনের অনেক অ্যাপ রয়েছে। ভালো অ্যাপে সাধারণত লাইভ স্ট্রিমিং, ভিডিও রেকর্ডিং, মোশন ডিটেকশন, নোটিফিকেশন এবং টু-ওয়ে অডিও সুবিধা থাকে। একই অ্যাপ পুরোনো ও নতুন দুই ফোনেই ইনস্টল করতে হবে।
* ডিভাইস সংযোগ করুন। অ্যাপ চালু করে একই অ্যাকাউন্ট দিয়ে দুই ফোনে সাইন-ইন করুন। এরপর অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরোনো ফোনকে ক্যামেরা ডিভাইস এবং নতুন ফোনকে ভিউয়ার হিসেবে সেট করুন। এই ধাপে দুই ডিভাইস একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
* পুরোনো ফোনটি এমন জায়গায় রাখুন, যেখান থেকে ঘরের বড় অংশ দেখা যায়। যেমন দরজার সামনে, সিঁড়ি, হলরুম বা বসার ঘর। ফোনটি একটু উঁচু জায়গায় রাখলে দৃশ্য পরিষ্কার পাওয়া যায় এবং শিশু বা পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে থাকে। ক্যামেরার কোণ ঠিক করে নিতে ভুলবেন না। ফোনটি সব সময় চার্জে রাখতে হবে, তাই কাছাকাছি বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা জরুরি। প্রয়োজনে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা যেতে পারে।
* সব সেটআপ শেষ হলে লাইভ ভিডিও ঠিকভাবে আসছে কি না তা পরীক্ষা করুন। মোশন সেনসিটিভিটি ও নোটিফিকেশন সেটিং নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক করে নিন। এরপর যেকোনো সময় মোবাইল দিয়েই ঘরের অবস্থা দেখা যাবে।
* এই পদ্ধতিতে কম খরচে ঘরের ভেতরের নজরদারি সম্ভব। একাধিক পুরোনো ফোন থাকলে বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে পুরো ঘর কভার করা যায়। তবে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। পুরোনো ফোনে সাধারণত নাইট ভিশন নেই, ভিডিও মান তুলনামূলক কম হতে পারে এবং ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়। বাইরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার সুরক্ষা নেই এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও থাকতে পারে।