নির্জন আন্দিজের পাহাড়ের চূড়ায়, মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক হারানো শহর—মাচু পিচু। এটি অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে, কুসকো শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে।
১৫শ শতকে ইনকা সভ্যতা এই শহরটি গড়ে তুলেছিল। পাহাড়ের খাড়া ঢালে, উরুবাম্বা নদীর উপত্যকার ওপর— এখানে ছিল জ্ঞান, সভ্যতা আর প্রকৃতির সঙ্গে অসাধারণ সমন্বয়। প্রত্যেকটি পাথর, প্রতিটি প্রাচীর— এখানে সিমেন্ট নেই, সবকিছু নিখুঁত পাথরের কাটায় তৈরি। ইনকা স্থপতিরা প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করেছিল এই শহর।
সূর্যোদয়, নদী, পাহাড়— সবই শহরের সঙ্গে
মাচু পিচু শুধু ধ্বংসাবশেষ নয়, এটি ইতিহাসের এক জীবন্ত স্মারক। ১৯১১ সালে হিরাম বিঙ্গাম এই শহরটি পুনরায় ‘আবিষ্কার’ করেছিলেন, আর তার পর থেকে এটি হয়ে উঠেছে পর্যটক ও ইতিহাসপ্রেমীদের
স্বপ্নের ঠিকানা
শহরটি ছিল ধার্মিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র, যেখানে মন্দির, আবাসন, কৃষি ক্ষেত এবং পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলো ছিল। বিশেষ করে সূর্য মন্দির ও ইন্টিহুয়াতানা পাথর পৃথিবীর প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিদর্শন।
কেউ জানে না ঠিক কেমন জীবন এখানে ছিল। কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছিল এই সভ্যতা? মাচু পিচু আমাদের শেখায়— প্রকৃতি আর মানুষের সৃজনশীলতার মিলনেই জন্ম হয় সত্যিকারের চমক।
আজও মাচু পিচু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে, রহস্যময়, মহিমান্বিত, সময়কে অমর করে রাখছে। মাচু পিচু— হারানো শহরের গল্প, যা আজও বিস্ময় জাগায়।