পদ্মার বুক জুড়ায়, উজ্জ্বলের সুরে!
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৫৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী থেকে ।।
নগরীতে থেকেও শরৎ দেখতে চান? তাহলে দেরি না করেই চলে আসতে পারেন, পদ্মার পাড়ে। এখানে আসলে দু-দশ টাকা খসাতে হবে ঠিকই কিন্তু তা সুদে আসলে পুষিয়ে নেওয়া যাবে প্রকৃতি ও পরিবেশ উপভোগ করে।
শেষ ভাদ্রেও পদ্মা এখন বেশ যৌবনবতী। বিশ টাকা খরচ করলে যেতে পারবেন তার বুক বরাবর। অর্থাৎ যাওয়া-আসা ২০ টাকা। এখানে এমন প্যাকেজে চলছে ৯টি কলের নৌকা। অনেকটা সময় নদীর বুকে থাকার সুযোগ হবে। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিবেন নির্মল বাতাসে।
শেষ বিকেলে পদ্মার আরেক আকর্ষণ মুক্ত মঞ্চে, উজ্জ্বলের গানে। উজ্জ্বল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তবে তার সুর যে কাউকে মোহিত করবে। গানের মাঝে মাঝে উজ্জ্বলের সাহায্যের আবেদনে আপনি সাড়া দিতেও পারেন, আবার নাও পারেন।
তবে বালকের গানে অন্য এক আকর্ষণ আপনাকে খুঁজে পাবে। পদ্মার প্রশস্ত বুক পেরিয়ে শূন্যে মেলানো দিগন্ত আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে। জীবন, মৃত্যু আর শূন্যতার বাইরে কি আছে মন তা খুঁজে পেতে চাইবে। গানের এক ফাঁকে উজ্জ্বল জানান, জন্মান্ধ হওয়ায় গানই তার জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। শুক্র ও শনিবারে লোক বেশি আস তাই তার আয়ও বেশি হয়।
এভাবে পদ্মার পাড়ে সন্ধ্যা নেমে আসে, নদীতে বাতাস বাড়ে। তার চেয়েও বেড়ে যায় উজ্জলের গানের মূর্চ্ছনা। কিন্তু নাগরিক ক্ষুধা যেন কমেনা। বিকেল বেলা যে কোলাহল এখানে শুরু হয়েছিল তা যেন কমতে চায়না। গেয়ে চলেন উজ্জ্বল। তার সামনে অসংখ্য শ্রোতা।
যারা নাগরিক জীবনের বোঝা বইতে বইতে ক্লান্ত গিয়ে। তারা হয়তো ফুসরত পেলেই ছুটে আসেন এখানে। কেননা এখানে প্রকৃতি আছে, উজ্জ্বলের গান আছে, আছে পদ্মার ভালোবাসা।
সারাবাংলা/এমএস/এনএইচ