শিশুর জন্য রাদওয়ান মুজিবের আহ্বানে পলকের উদ্যোগ, আতিকুলের সম্মতি
২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:০৯
শিশুদের ওপর কেবল লেখাপড়ার বোঝা না চাপিয়ে তাদের শারীরিকভাবে সক্রিয় করে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। তিনি বলেছেন, প্রতিটি শিশুকে শারীরিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে। আর এ জন্য শিশুদের খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও বেশি মাঠ প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনের কথা কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর ট্রাস্টি, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক রোববার (২৪ নভেম্বর) তার পরপর দুটি ফেসবুক পোস্টে শিশুদের সক্রিয়ভাবে গড়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই আহ্বান জানান।
প্রথম পোস্টে তিনি রাজধানীর গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের স্থানটিতে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠ করার আহ্বান জানান। আর দ্বিতীয় পোস্টে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনের কিছু স্ক্রিনশট তুলে ধরে লেখেন, বিশ্বে শারীরিকভাবে সবচাইতে সক্রিয় শিশুদের তালিকায় বাংলাদেশের শিশুরা রয়েছে। তবে তাও এমন ভালো কিছু নয়। কোনও দেশের চেয়েই কোন দেশ ভালো করছে কী? প্রশ্ন তার।
প্রতিবেদনে দেখা যায় বিশ্বে এখন শিশুদের শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে। শারীরিক অসক্রিয়তায় বাংলাদেশ সবচেয়ে নীচের পর্যায়ে রয়েছে, তবে তারপরেও দেশের শতকরা ৬৬ ভাগ শিশু এখনো দিনে অন্তত এক ঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকছে না। ফিলিপাইনের ছেলে শিশুদের ৯৩ ভাগই থাকছে শারীরিকভাবে অসক্রিয় আর দক্ষিণ কোরিয়ার ৯৭ভাগ মেয়েরা এই দলে।
তবে দেশের শিশুদের শারীরিক সক্রিয়তা আরও বাড়াতে হবে এই মত দিয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক লিখেছেন, শিশুদের খেলাধুলার জন্য আরও জায়গা তৈরি করার মধ্য দিয়েই তা সম্ভব।
শিশুদের ওপর সারাক্ষণ লেখাপড়ার চাপ না দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
রাদওয়ান সিদ্দিক আরও লিখেছেন, এখনো পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি, তার আগেই ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে শিশুরা ভিড় করছে, খেলছে। একইভাবে তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে (জিওয়াইসি)তেও।
ঢাকায় হাঁটার জন্য পার্ক যেমন থাকতে হবে পাশাপাশি উন্মুক্ত খেলার মাঠও সমান গুরুত্বপূর্ণ, এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘কেন পুরাতন ওয়ান্ডারল্যান্ড একটি উন্মুক্ত খেলাধুলার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারবে না?
‘সেখানে সব মওসুমের উপযোগী করে বিভিন্ন ধরনের খেলার জন্য পিচ তৈরি করুন এবং শিশুদের খেলতে দিন,’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন তিনি।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে প্রথম ও ১০টা ১৯ মিনিটে দ্বিতীয় পোস্টটি ফেসবুকে প্রকাশ করেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
মাত্র কয়েক ঘণ্টায় দুটি পোস্টে দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া আসে। এছাড়া মন্তব্য আসে শতাধিক। এছাড়া পোস্টগুলো নিজেদের ফেসবুক দেয়ালে রিপোস্ট করে একই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন অনেকেই। যাদের মধ্যে রয়েছেন আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও।
পোস্টটিতে তার দেওয়া মন্তব্যে পলক লিখেছেন, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। পরে আরেকটি কমেন্টে তিনি জানান এরই মধ্যে তিনি বিষয়টি দিয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মেয়র তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, গুলশানের ওই স্থানটিতে একটি খেলার মাঠ করা হবে। যেখানে আমাদের শিশু ও বড়রা খেলাধুলা করতে পারবে।
ঘনিষ্টদের কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত ফুটবল খেলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক নিজেও। সেই সঙ্গে খেলাধুলার প্রতি তার রয়েছে অপরিসীম ভালোবাসা।
সারবাংলা/এমএম
ওয়ান্ডারল্যান্ড গুলশান খেলার মাঠ জু্নাইদ আহমেদ পলক মেয়র আতিকুল ইসলাম রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক শিশুদের সক্রিয়তা