রোববার কাটবে কুয়াশা, কমবে শীতও
২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:০৩
একেবারে যথাযথ শুক্রবারের সকাল আজ। চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা, সেইসঙ্গে শীত। কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর জন্য একেবারে দারুণ দিন।
তবে এরমধ্যেই যাদের বাইরে বের হতে হয়েছে, অফিস করতে হয়েছে, পরীক্ষা দিতে যেতে হয়েছে তাদের জন্য একটু মায়াই লাগছে।
এই যেমন ধরুন, আমরা যারা গণমাধ্যমকর্মী আছি, কিংবা চিকিৎসক, নার্স, ফায়ার সার্ভিস সদস্য, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, যে কোনো সেবা সংস্থার সদস্য কিংবা একেবারে বাড়ির গৃহসহকারী-দারোয়ান। এদের তো জীবিকার টানে কম্বলের ওমকে পাশে রেখেই পথে নামতে হয়। সে যত শীত-রোদ-ঝড়-বৃষ্টিই হোক না কেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতার জানিয়েছে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যখন রিপোর্ট লিখছি সেই সময় অর্থাৎ বেলা ১১টায় ঢাকার তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চারপার ঢেকে আছে ঘন কুয়াশায়। সকালে রীতিমতো বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরেছে শিশির। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
জেনে রাখুন, এই ঠান্ড, কুয়াশা আর শীত আরও দুইদিন থাকবে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে সূর্য তার শক্তি দেখাতে শুরু করবে। তখন ঠান্ডাও কিছুটা কমবে।
সকালে সারাবাংলাকে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আর সে কারণেই এতো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সেখানকার তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে রাজশাহী ও কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে সেখানে তুলনামূলক বেশি ঠান্ডা পড়েছে। চারপাশ ঢেকে আছে কুয়াশায়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিত অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছের বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক যে লঘুচাপ সেটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলেও জানাচ্ছে পূর্বাভাস। তাই আরও ৪৮ ঘণ্টা শীতে কাঁপার প্রস্তুতি নিন।
সবাই ভালো থাকুন।