বিশ্বের ৮ দেশে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৩৮
সারাবিশ্বে পুরুষের তুলনায় গড়ে মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ অধিকার ভোগ করে নারী। কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিজীবনে নানাভাবে সুবিধাবঞ্চিত হয় তারা। তবে আশার কথা হলো, বিশ্বের ৮টি দেশে নারী ও পুরুষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমানাধিকার ভোগ করছে। শুধু তাই নয়, এই দেশগুলোতে আইনি বৈষম্যও নেই।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি রিপোর্টে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন ও কানাডা-এই আটটি দেশের নারী-পুরুষ কর্মক্ষেত্রে সমান সুবিধা পায়। শুধু তাই নয়, চলাফেরা, মাতৃত্ব, সম্পত্তিসহ সবক্ষেত্রে নারী পায় পূর্ণ স্বাধীনতা। এই দেশগুলোর সব ধরনের কর্মক্ষেত্র নারীর জন্য নিরাপদ। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও সেখানে ঘটে না। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ এই দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা বদলে দিয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছর যেসব দেশ অর্থনীতিতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করেছে তার একটি তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’। তালিকা অনুযায়ী, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা শীর্ষ দেশ আইসল্যান্ড। এরপরেই আছে যথাক্রমে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নিকারাগুয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, রুয়ান্ডা ও জার্মানির মতো দেশগুলোর নাম। অন্যদিকে পাকিস্তান, ইরাক ও ইয়েমেনে লিঙ্গ বৈষম্য এখন পর্যন্ত অত্যন্ত বেশি বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।
বিশ্বব্যাংক বলছে, সম্প্রতি কয়েকটি দেশ লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। গত তিন বছরে অন্তত ৪০ দেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আইনি পরিবর্তন আনা হয়েছে। উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি দেশ কর্মক্ষেত্রে আইনি পরিবর্তন এনে নারী, পুরুষের বেতনসহ সবক্ষেত্রে সমানাধিকার নিশ্চিত করেছে। এছাড়া সম্প্রতি সৌদি আরব বিভিন্নক্ষেত্রে নারীদের কাজের সুযোগ দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। পরিবর্তনের তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে এখন সৌদি আরব অন্যতম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ক্লাউস সোয়াব বলেন, ‘নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত না হলে সমাজের আমূল পরিবর্তন আসবে না। টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান বিষয় হলো সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য বিলোপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীর অধিকার নিশ্চিতের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে তরুণ সমাজের চিন্তাধারাও পাল্টাচ্ছে। তারাও নারীর অধিকার নিয়ে সচেতন হচ্ছেন।’