ফাল্গুনের মোহনায় মন কি মাতছে আপনাদের? নাকি শীতের সকালের জন্য মন খারাপ লাগছে?
আমার কিন্তু ফাল্গুন আসলেই ভয় করতে থাকে, এই ভয় গরমকাল আসার। মানে ফাল্গুন এসে গেলো মানেই পায়ে পায়ে এসে পড়বে চৈত্র। তারপর বৈশাখের ঠা ঠা গরম। উফফফ, মনে হতেই ভয় লেগে ওঠে আমার।
শীত বাড়ি যেতে না যেতেই তাপমাত্রার পারদ যেমন উঠছে, তাতে ভবিষ্যত কী হবে সেইটা ভেবে আতঙ্কিত হবো না তো কি!
বুধবার সকালে যখন এই প্রতিবেদন লিখছি তখন ঢাকার তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শরীরে সেইটা অনুভূত হচ্ছে ২৪ ডিগ্রি। তবে বেলা বাড়লে সেটাও বেড়ে যাবে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাতে অবশ্য কিছুটা কমবে।
রাতে তাপমাত্রা কমলে কী হবে? অ্যাকুওয়েদার বলছে, রাতের বাতাস হবে খুবই অস্বাস্থ্যকর।
শীত বিদায় নিলেও কুয়াশা কিন্তু এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ছে। এমনকি সকালেও দেখা যাচ্ছে কুয়াশার চাদর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিত অংশ হিমালয়ের পাদদেশের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। মৌসুমের যে স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে সেটিও এখন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এসবের কারণে দেশের আকাশ আংশিকভাবে মেঘলা থাকবে, আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। তবে আপাতত কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়নি।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনও হবে না।
আপাতত এটুকুই ছিল আবহাওয়ার খবর। সবাই ভালো থাকুন।