ধুলার নগরে কালবৈশাখীর সকাল
৩ মার্চ ২০২০ ০৯:৪৫
বৃষ্টি যে হবে সে পূর্বাভাস কিন্তু রাজধানীবাসীর জানা ছিল। কিন্তু সেই বৃষ্টির চরিত্র যে এমন হবে তা কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি বোধহয়। মানে ফাল্গুনের শেষে বৃষ্টি হতেই পারে, তাই বলে কালবৈশাখী? নাহ এতোটা কল্পনায় ছিল না।
কিন্তু সেটাই হয়েছে। ঘুম ভেঙেই দেখতে হয়েছে ঘন কালো মেঘে ঢাকা অন্ধকার আকাশ। যেখানে গতকালও ছিল ঝকঝকে রোদের দিন, সেখানে আজ দেখুন কেমন কালো মেঘের আকাশ।
সকালে যারা বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তাদের বেশিরভাগকেই ভিজে একাকার হতে হয়েছে। কারণ, শুধু বৃষ্টি তো নয় যে, ছাতা মাথায় দিয়ে রক্ষা পাবেন। এলোপাতাড়ি বাতাসের কারণে বৃষ্টিতে ভিজতেই হয়েছে। তারওপর গণপরিবহনেরও বেশ সংকট ছিল, ছিল ট্রাফিক জ্যামও।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস সারাবাংলাকে জানালেন, আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত এইরকম আবহাওয়া থাকবে পারে। মানে এই ঝড়-বৃষ্টি-মেঘ। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই কদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। মানে রোজই কোথাও না কোথাও থেকে ঝড়-বৃষ্টির খবর আসতে থাকবে।
যেমন আজ কালবৈশাখী আর বৃষ্টি হয়েছে ঢাকা, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে।
কেন হঠাৎ এই বৃষ্টি? জানতে চাই আবহাওয়াবিদের কাছে। তিনি বলেন, এখন তাপমাত্রা বাড়ছে, আদ্রতা বাড়ছে বাতাসের। পূবালী বায়ু আর পশ্চিমা বায়ুর মিশ্রণের কারণে এখন এই ধরনের ঝড়-বৃষ্টি সৃষ্টি হতে পারে।
সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। আকাশ মেঘে ঢাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়বে, মেঘের ফাঁকে সূর্য কিছুসময়ের জন্য দেখাও দিতে পারে। তবে দুপুরের পর আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যদিও আকাশে থাকবে মেঘ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিত অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশে বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এসবের কারণেই সকাল সকাল পাওয়া গেল ঝড় আর বৃষ্টি।
তবে একটা কথা না বললেই নয়, গত কয়েকদিন ধুলায় ধূসরিত রাজধানী দেখে এখানকার বাসিন্দারাই মনে মনে বৃষ্টি প্রার্থনা করছিলেন। ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক না কেন, ধুলা থেকে তো আপাত মুক্তি মিলবে। আর দ্যাখেন, হয়েছেও তাই। রাজধানী জুড়ে চমৎকার বাতাস, কিন্তু ধুলায় মুখ ঢাকতে হচ্ছে না।
এই ঝড়-বৃষ্টির দিন সবার ভালো কাটুক।