আটকে পড়ে মারা গেল ৩৮০ তিমি, উদ্ধার হলো মাত্র ৫০টি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৪১
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের উপকূলে আটকা পড়ে অন্তত ৩৮০ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে আটকা পড়ে এত বিশাল-সংখ্যক তিমির মৃত্যুর ঘটনা আগের সব সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করেছে।
এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাসমানিয়ান মেরিটাইম কনসারভেশন প্রোগ্রাম এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, দ্বীপের ম্যাককুয়েরি হেডস এলাকায় তিনটি দলে ২৭০টি আটকা পড়া তিমির সন্ধান পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা দেখতে পান প্রায় ২০০টি তিমি ওই অঞ্চলের সমুদ্র সৈকতের বালুতে আটকা পড়ে আছে। এছাড়া কয়েক কিলোমিটার দূরে আরও দু’টি দলে পাওয়া যায় অর্ধশতাধিক তিমি। পরে মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দলের হেলিকপ্টার থেকে আরও প্রায় ২০০টি মৃত তিমির সন্ধান পাওয়া যায়।
আটকা পড়া তিমিগুলোকে ৬০ জনের উদ্ধারকারী দল বালির তীর থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে টেনে সমুদ্রের জলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। উদ্ধারকারী দল এ পর্যন্ত ৫০টি তিমিকে গভীর সমুদ্রে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এখন পর্যন্ত জীবিত থাকা আরও ৩০টি তিমি উদ্ধারের জোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, উপকূলের ওই এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় আটকে পড়া তিমিগুলোকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাসমানিয়া সরকারের কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দলের সমন্বয়ক নিক ডেকা বলেন, ‘যতক্ষণ তারা জীবিত আছে ততক্ষণ আশা আছে। জীবিত তিমিগুলোকে উদ্ধারে অভিযান চলবে। তবে যত সময় যাচ্ছে তত ঝুঁকি বাড়ছে’।
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক তিমির আটকা পড়ার ঘটনা। এর আগে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রায় ৩২০টি তিমি আটকা পড়েছিলো। জীববিজ্ঞানী ড. ক্রিস কার্লাইন বলেন, ‘আরও দুইশো আটকা পড়া তিমি যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা তাসমানিয়ার ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে ১৯৩৫ সালে এই অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে ২৯৪টি তিমি আটকা পড়েছিল’।
জীববিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এসব পাইলট তিমি কী কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে আসলো তার কারণ এখনও জানা যায়নি। শক্তিশালী জোয়ারের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ জোয়ার তিমিগুলোকে আবারও তীরে ফিরিয়ে আনছে।
