বিশ্বকাপ ১৯৬৬ ফাইনালের পরিসংখ্যান
ছেষট্টির বিশ্বকাপ শুরু থেকেই নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত ছিল।
বিভিন্ন দেশের বিরোধিতার পরও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর নিজেদের অঞ্চলে বাছাই পর্ব খেলার জটিলতায় আফ্রিকার সবগুলো দেশ সেবার বিশ্বকাপ বয়কট করে।
এদিকে আবার বিশ্বকাপ শুরুর আগে চুরি হয়ে যায় জুলে রিমের ট্রফি!
বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক চার মাস আগে পিকলস নামক এক কুকুর নরওয়ের এক বাগানে পুঁতে রাখা ট্রফিটি খুঁজে বের করে।
রাতারাতি ফুটবল বিশ্বসহ গোটা ইংল্যান্ডে হিরো হয়ে ওঠে কুকুরটি।
বাষট্টির বিশ্বকাপের পর ছেষট্টির বিশ্বকাপেও ফুটবল মাঠ হয়ে উঠেছিল যেন ‘রেসলিং’ এর মঞ্চ।
বিশেষ করে শীর্ষ ফেভারেট ব্রাজিলকে ঠেকাতে অন্য দলগুলো যেভাবে ফাউল করেছে তা নজিরবিহীন।
পেলেসহ গোটা ব্রাজিল দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার এই বিশ্বকাপে মারাত্মক ইনজুরিতে পড়েন।
নানা ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ওঠে জার্মানি ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
নির্ধারিত সময়ে খেলায় ২-২ গোলে সমতা ছিল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
এই অতিরিক্ত সময়েই ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড জিওফ হার্স্ট এক বিতর্কিত গোল করে দেশকে শিরোপা পাইয়ে দেন।
ওই শেষ গোলের মধ্য দিয়ে জিওফ হার্স্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত একমাত্র হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন।
এছাড়া ১৯৩০ ও চৌত্রিশের পর ১৯৬৬ এর বিশ্বকাপেও শিরোপা জিতলো স্বাগতিক দেশ।
ইংল্যান্ডের ববি চার্লটন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হন।
ছবি: ফিফা ও গোল ডট কম