Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের রাতের ফজিলত


২১ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৪৫

পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। আনন্দ ও খুশির দিন। ‘ঈদ’ শব্দটি আরবি, যার অর্থ আনন্দ। ‘ফিতর’ শব্দটিও আরবি, যার অর্থ রোজা ভাঙা। ঈদুল ফিতরের অর্থ রোজা শেষ হওয়ার আনন্দ, আল্লাহর নেওয়ামত লাভ করার আনন্দ। হিজরি সনের দশম মাস তথা শাওয়াল মাসের ১ তারিখ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

তবে ঈদ শুধু নেক বান্দাদের জন্যই খুশির দিন। যারা এক মাস ধরে সিয়াম সাধনা করেছেন, তাদের জন্যই আনন্দ ও উৎসবের দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ দিনটি আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কারলাভেরও দিন। রমজানের বরকত লাভের জন্য ত্যাগ, কষ্ট-ক্লেশ ও আয়াস সাধ্য-সাধনার পর বহুল প্রতীক্ষিত ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ ও সুখসমৃদ্ধি। ঈদুল ফিতরের দিন একদল ফেরেশতা দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা দয়াময় প্রভুর দিকে ছুটে চলো। তিনি তোমাদের কল্যাণ দান করবেন। তিনি তোমাদের পুরস্কার দেবেন।’

বিজ্ঞাপন

ঈদের পূর্ণাঙ্গ আনন্দ-খুশি ও কল্যাণ অর্জন করতে হলে আরো ঘনিষ্ঠ করতে হবে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। সুসম্পর্ক, ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ করতে হবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে, হৃদ্যতা ও ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমে। উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে বন্ধু-বান্ধব স্বজনদের সঙ্গে সহমর্মিতা ও সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে।

ঈদের রাতের ফজিলত

আল আনসারী (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন সকালে সকল ফেরেশতা রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান এবং মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, হে মুসলিমগণ! তোমরা দয়ালু প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে আস। উত্তম প্রতিদান ও বিশাল সাওয়াব প্রাপ্তির জন্য এগিয়ে আস। তোমাদের রাত্রিবেলার নামাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশ মেনে নামাজ পড়েছ। তোমাদেরকে দিনগুলোতে রোজা রাখতে বলা হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশও পালন করেছ, এক মাস রোজা রেখেছ। গরীব দুঃখীরদের পানাহারের মাধ্যমে নিজ প্রতিপালককে তোমরা পানাহার করিয়েছ। এখন নামাজ পড়ার মাধ্যমে সেগুলোর প্রতিদান ও পুরস্কার গ্রহণ কর। ঈদের নামাজ পড়ার পর ফেরেশতাদের মাঝে একজন ঘোষণা দেন, শোন, নামাজ আদায়কারীরা! তোমাদেরকে মহান রাব্বুল আলামীন মাফ করে দিয়েছেন, সকল গুনাহ থেকে মুক্ত অবস্থায় নিজ নিজ আবাসে ফিরে যাও। আর শোন! এ দিনটি হচ্ছে পুরস্কার প্রদানের দিন। আকাশে এ দিনের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুরস্কারের দিন’ (আল মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হাদীস নম্বর-৬১৭ ও ৬১৮)।

বিজ্ঞাপন

হযরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর নিকট সাওয়াব প্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (ইবন মাজাহ, হাদীস নম্বর ১৭৮২, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নম্বর-১৫৯)।

মহানবী সা. আরো ইরশাদ করেন ‘যে ব্যক্তি দু’ঈদের রাতে পুণ্যের প্রত্যাশায় ইবাদত-বন্দেগী করে কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির জন্য রয়েছে মহা পুরুস্কার, অর্থাৎ কিয়ামতের দিন অন্যান্য লোকদের অন্তর মরে যাবে, কিন্তু কেবল সেই ব্যক্তির অন্তর জীবিত থাকবে, সেদিনও মরবে না’। আততারগীব

রাসূল সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি পুণ্যময় ৫টি রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে সেই ব্যক্তির জন্য সু-সংবাদ রয়েছে, আর সেই সুসংবাদটি হচ্ছে ‘জান্নাত’ এবং পুণ্যময় ৫টি রাত হলো ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শবে বরাত, জ্বিলহজ্জের রাত, আরাফাতের রাত । (বাইহাকী)

লেখক: ইসলাম বিষয়ক লেখক ও আইনজীবী

সারাবাংলা/এসবিডিই

ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ ঈদের রাতের ফজিলত এজেডএম আবদুস সবুর ধর্ম ধর্ম ও জীবন ফিচার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর