মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারী, গণহত্যার ইতিকথা
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৫
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি জেলা নীলফামারী। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই জেলা ৬নং সেক্টরের আওতাধীন ছিল। দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। স্থানীয় কৃষকদের মুখে নীল খামার রূপান্তরিত হয় নীলখামারীতে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের। মাতৃভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সমস্ত আন্দোলন সংগ্রামে এই জেলার মানুষের বীরত্বে গাঁথা ইতিহাস রয়েছে। এই প্রবন্ধটি নীলফামারী মানুষের লড়াই সংগ্রামের ইতিকথা হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়াস মাত্র।
জাতির ভিত্তিতে ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ায় ইংরেজদের পরিকল্পনা সফল হওয়ার ফলে ভারতবর্ষ বিভিন্ন অংশে রুপ নেয়। সেই অংশরই অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। অংশ দুইটা হলে কি হবে শাসন করতো পশ্চিম পাকিস্তান অংশ। পাকিস্তানিরা শাসনের সাথে শোষণ যুক্ত করে বাংলাকে ‘কলুর বলদ’ বানানোর চেষ্টা চালায়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রশাসনিক, সামরিক, সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে স্পষ্টভাবে বোধগম্য হবে।
পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈষমটি ছিল রাজনৈতিকভাবে। আর এর সূত্রপাত হয় ঢাকাকে রাজধানী না করে করাচিকে করার মাধ্যমে। সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালিকে এইভাবেই কোনঠাসা করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানরা। এতেও ক্ষান্ত হয় নি, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট হাওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বাঙালিদের আসন কম দেওয়া হয়।
পূর্ব-পাকিস্তান চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য। কেন্দ্রীয় সরকার সব ক্ষমতার অধিকারী থাকার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বীমাসহ অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস ছিল পশ্চিম-পাকিস্তানে। জন্মলগ্ন থেকে পাকিস্তানের তিনটি পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা গৃহীত হয়। প্রথমটিতে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ব্যয় ছিল ১১৩ কোটি ও ৫০০ কোটি রুপি। দ্বিতীয়টিতে ছিল ৯৫০ কোটি রুপি এবং ১৩৫০ কোটি রুপি। তৃতীয়টিতে বরাদ্দ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ৩৬% এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য ৬৩% রাজধানী উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বেশির ভাগ ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। ১৯৫৬ সালে করাচির উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয় ৫৭০ কোটি রুপি, যা ছিল সরকারি মোট ব্যয়ের ৫৬.৪%। সে সময় পূর্ব-পাকিস্তানের মোট সরকারি ব্যয়ের হার ছিল ৫.১০%। ১৯৬৭ সালে ইসলামাবাদ নির্মাণের জন্য ব্যয় করা হয় ৩০০ কোটি টাকা এবং ঢাকার জন্য ব্যয় করা হয় ২৫ কোটি টাকা। বৈদেশিক সাহায্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান পায় মাত্র ২৬.৬%। ১৯৪৭-১৯৭০ সাল পর্যন্ত মোট রপ্তানি আয়ে পূর্ব পাকিস্তানের অংশছিল মাত্র ৫৪.৭%। রপ্তানি আয় বেশি করলেও পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আমদানি ব্যয় ছিল মাত্র ৩১.১%। ১৯৫৫ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, সামরিক বাহিনীর মোট ২২১১ জন কর্মকর্তার মধ্যে বাঙালি ছিল মাত্র ৮২ জন। ১৯৬৬ সালে সামরিক বাহিনীর ১৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ১ জন ছিল বাঙালি। এ সময় সামরিক অফিসারদের মধ্যে ৫% ছিল বাঙালি। পাকিস্তানের মোট ৫ লাখ সেনা সদস্যের মধ্যে বাঙালি ছিল মাত্র ২০ হাজার জন অর্থাৎ ৪%। ১৯৫৫-১৯৬৭ সালের মধ্যে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দের পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য ছিল ২০৮৪ মিলিয়ন রুপি এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ছিল ৭৯৭ মিলিয়ন রুপি।
সমস্ত ক্ষেত্র পূর্ব পাকিস্তান তথা বাঙালি বৈষম্যের শিকার হয়ে ধাপে ধাপে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলেছে। ‘মুক্তি অথা মৃত্যু’ কমরেড চে গুয়েভারার এই উক্তি যেদিন মানুষের একমাত্র শপথে পরিনত হয়েছিল। ফলে বাংলার সমস্ত মানুষ ১৯৭১ সালে মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। নীলফামারীর মানুষও আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি।
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার উত্তর দিকে বাংলাদেশ ভারতের বর্ডার, আর এই অঞ্চলে হানাদার বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান নেওয়া ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু ডিমলার উত্তর অঞ্চলটি ছিল ভারতের বর্ডার সে কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান বর্ডারের কাছাকাছি। আর পাকিস্তানীরাও সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প তৈরি করেন। ডিমলায় যুদ্ধ শুরু হয় ১৯৭১ সালের ১৮ অক্টোবর। ১৯ অক্টোবর দক্ষিন বালাপাড়ার ১১ জন সাধারন মানুষকে গোমনাতি নিয়ে যাওয়ার পথে (বর্তমান বালাপাড়া বধ্যভূমি) নির্বিচারে বেয়নেট চার্জ ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সংগ্রামী বাঙালির যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পাকবাহিনী পিছু হটে। ফলে ১১ ডিসেম্বর ডিমলা হানাদার মুক্ত হয়।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা বোড়াগাড়ী হাসপাতালের উত্তরদিকে হলদিয়াবন ও বুদলিরপাড় গ্রামে অবস্থান নিয়ে পাক সেনাদের প্রতিহত করতে শুরু করে। দুপক্ষের মধ্যে চলে তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে ৩ জন পাক সেনা মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় দুইজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে পিছু হঠতে শুরু করে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা যাতে ডোমারে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বোড়াগাড়ী ব্রীজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। রাতে বোড়াগাড়ীর উত্তরপাড়ায় পাক বাহিনী হামলা চালিয়ে ৭ জন নিরিহ মানুষকে হত্যা করে। ৫ ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ লড়াইয়ে না পেরে পিছু উঠতে থাকে পাক হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পারায় ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা উপজেলা সদর হতে আট কিলোমিটার দূরে ডোমার-ডিমলা সড়কের কালিগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বাজারের উত্তর-পশ্চিমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। সেখানেই বড় গর্ত করে গণকবর দেওয়া হয় সবাইকে। রক্তস্নাত ‘কালিগঞ্জ বধ্যভূমি’। এতে নিশ্চিত হওয়া ৭৮ জন শহীদের নাম উল্লেখ থাকলেও বাকি শহীদের নামের তালিকা মিলেনি। ১৩ ডিসেম্বর ভোর হতে মুক্তিবাহিনীর দল শত্রুপক্ষের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কেউ মারা না গেলেও অনেকে আহত হয়। তবে আকাশ ফর্সা হবার সাথে সাথে শত্রুপক্ষের কেউই ছিল না। তারপর প্রথমে মুজিব বাহিনী ও পরে মুক্তিবাহিনী চতুর্দিক হতে জলঢাকায় ঢুকে পরলে সেদিনই জলঢাকাকে ‘হানাদার মুক্ত’ ঘোষণা করা হয়।
নীলফামারীর অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। ৫ই এপ্রিল ইপিআর, আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ হাজার হাজার জনতা ছুরি, বল্লম, বন্দুক, লাঠি নিয়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট আক্রমনের জন্য এগিয়ে যেতে থাকে। পাক সেনাদের প্রতিরোধ করার জন্য সৈয়দপুর হতে নীলফামারী পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বে বাংকার করে মুক্তিকামীরা অপেক্ষা করে। ৭ই এপ্রিল সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাক সেনারা ট্যাংক, কামান ও ভারী অস্ত্র নিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে নীলফামারী শহরের দিকে আসতে থাকে। পাক সেনারা আসার পথে শতশত বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়। পাকসেনারা নীলফামারী শহরের দিকে আসতে থাকলে প্রতিরোধের বুহ্য ভেঙ্গে গেলে ইপিআর, পুলিশ ও আনসার সহ সাধারণ ছাত্র-জনতা সীমান্তের দিকে সরে যায়। পরবর্তী পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে শস্বস্ত্র ট্রেনিং নেওয়ার পর ৬নং সেক্টরের অধীন পাকসেনাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমন শুরু করে এবং পাক সেনাদের পরাস্ত করতে শুরু করে। ১৩ই ডিসেম্বর নীলফামরী হানাদারমুক্ত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও হাজার হাজার জনতা নীলফামারী শহরে আনন্দ মিছিল করে।
বীর সন্তানদের জন্য আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, অপশক্তিদের হাত থেকে বাংলার মানুষ শোষণ, নির্যাতন, বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেয়েছে; কমরেড চে গুয়েভারার সেই মহান উক্তির (মুক্তি অথা মৃত্যু) প্রথম অংশরই প্রমান দিয়ে বীর বাঙালি। নীলফামারী জেলায় প্রত্যক্ষভাবে দুইশত মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরোক্ষভাবে কত মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে মুক্ত করেছে তার কোনো হিসেব হয়তো আমাদের কাছে নাই। মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে যারা ফিরে এসেছে রাষ্ট্র তাদের সম্মাননা দিয়েছে ভাতার ব্যবস্থা করেছে কিন্তু যারা আর ফিরে আসেনি কিংবা যাদের রক্তের ওপর নির্মাণ হয়েছে বধ্যভূমি, যারা হারিয়ে তাদের একমাত্র সন্তান কিংবা জীবন কাটানোর একমাত্র সম্বল স্বামী, তাদের কি কোনো সম্মাননা বা ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে? ছোটবেলা থেকেই ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া বধ্যভূমিতে দিবস গুলোতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি। দেখে আসতেছি যাদের রক্তের ওপর বধ্যভূমি নির্মিত তাদের স্ত্রী কিংবা সন্তানকে ডেকে সামান্য অংকের টাকা ও একটা কম্বল বিতরণ করে বধ্যভূমি থেকে বিদায় করা হয়। সারাবছর তাদের দিন কেমন করে কাটে কেউই খোঁজ নেওয়ার সময়ই পান না! আমরা স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পার করছি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে আমরা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছি; প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মাননা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের দেওয়া সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে এতো গড়িমসি কেন? যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিতে কোনো সমস্যা আছে কি? যদি থাকে তবে তাদের দেশপ্রেম আর প্রাণ দানের মূল্য দিবেন কিভাবে? যাদের রক্তে বির্নিমাণ হয়েছে গণকবর কিংবা বধ্যভূমি তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ কেন? তাদের সম্মান কি শুধুই দিবসে কিছু টাকা আর হাতে একটা কম্বল ধরিয়ে দিয়ে শেষ করা যায়? না গেলে স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরে এসেও তারা অসহায় ভাবে দিন পার করছে কেন?
গণকবর কিংবা বধ্যভূমি গুলো আজ অবেলায় অযন্ত্রে পরে থাকতে দেখা যায়। দেশ স্বাধীনের বায়ান্ন বছরে আসতে আমরা অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়েছি যাদের মধ্যে অনেকেই রাষ্ট্রের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি। আর হয়তো কিছুদিন গেলে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে বসবো। তবে কি স্বাধীনাতার সংগ্রামে অংশ নেওয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিদায় নেওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবে না? প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের শ্বেতপত্র জাতির সামনে তুলে ধরতে আর কতকাল লাগবে? নীলফামারী জেলা ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মহুবর রহমান অনেক দৌড়ঝাঁপ করেও রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে মহুবর রহমানের মতো শত শত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তারা আজ টাকার অভাবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারছেন না তারা মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন সময় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা নানা কৌশলে, রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হননি। অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে না পারা জাতির জন্য লজ্জাজনক বিষয়।
সারাবাংলা/এসবিডিই
জাফর হোসের জাকির ফিচার মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারী- গণহত্যার ইতিকথা