আয়কর রিটার্ন যেভাবে ঘরে বসেই জমা দেবেন
১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৮
বছরের শেষদিকে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। বিশেষ করে নতুন যারা আয়কর বিবরণী জমা দেন তাদের তো এই বিষয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। এবার অবশ্য করদাতাদের জন্য এই সুখবর নিয়ে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি সবার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সেবা উন্মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে উৎসাহ দিচ্ছে। এখন যেকোনও করদাতা চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন নিয়ে ঘরে বসেই তার আয়-ব্যয়ের তথ্য জানিয়ে এ বছরের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া এখন খুবই সহজ। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি স্মার্ট ই-রিটার্ন সিস্টেম তৈরি করেছে। এনবিআরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এখন ঘরে বসেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া, রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও কর সনদ সংগ্রহ, ই-পেমেন্ট করা এবং ই-রিটার্ন ভেরিফাই করা সম্ভব। এই সিস্টেমটি ব্যবহার করার জন্য ট্যাক্স সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থাকার প্রয়োজন নেই। চলতি সিস্টেমে অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাবে; আবার কর পরিশোধও করা যাবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেকোনও করদাতা রিটার্ন জমার পাশাপাশি কর পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া একই অনলাইন ব্যবস্থা থেকে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন করদাতা।
অর্ধশতাধিক সরকারি–বেসরকারি সেবা পেতে এখন আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। তাই এসব সেবা পাওয়ার চিন্তাভাবনা বা সম্ভাবনা থাকলে আপনাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ করে কর রেয়াতের সুযোগও নিতে পারেন করদাতারা। প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইনব্যবস্থা চালু করে এনবিআর। এ বিষয়ে এনবিআরের স্লোগান হচ্ছে, ‘না দাঁড়িয়ে লাইনে, রিটার্ন দিন অনলাইনে’।
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অনলাইনে বা ই-রিটার্ন জমাকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। জানা গেছে, গত সপ্তাহে অনলাইনে রিটার্ন জমা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অনলাইনে রিটার্ন জমায় করদাতাদের প্রবল আগ্রহ দেখে এনবিআর আশা করছে, চলতি অর্থবছরে অনলাইনে অন্তত ১৫ লাখ রিটার্ন জমা পড়বে। অবশ্য এর আগেও অনলাইনে রিটার্ন জমার ব্যবস্থা করেছিল এনবিআর। তখন কিন্তু করদাতাদের তেমন একটা উৎসাহ দেখা যায়নি। ২০১৬ সালে ৫১ কোটি টাকা খরচ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছিল, যা চার বছর চালু থাকে। ওই চার বছরের প্রতিবারই মাত্র পাঁচ-ছয় হাজার করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দিতেন। সে জন্য ২০১৯ সালে ওই সিস্টেম বন্ধ করে দেয় এনবিআর। পরে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এনবিআরের আয়কর বিভাগের একটি বিশেষ দল মাত্র দুই কোটি টাকা খরচ করে নতুন অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দুই লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন।
যেভাবে রিটার্ন জমা দেবেন
অনলাইন রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd। অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য প্রথমেই ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘ই-রিটার্ন’ বাটনে ক্লিক করলে একটি নতুন উইন্ডো আসবে। সেখানে জানতে চাওয়া হবে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে কি নাই। যদি থাকে তাহলে ‘আই হ্যাভ এন অ্যাকাউন্ট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে আর না থাকলে ‘আই ডোন্ট হ্যাভ এন অ্যাকাউন্ট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ জন্য ‘আই ডোন্ট হ্যাভ এন অ্যাকাউন্ট’ বাটনে ক্লিক করার পর সেই অপশনটা পাবেন। সেখানের ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করলে ‘সাইন আপ’ পেজ আসবে। এবার আপনার টিন নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা সঠিকভাবে দিয়ে ‘ভেরিফাই’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করার পূর্বে আপনার মোবাইল নম্বরটি বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড কি না, সেটা জানতে চাইবে। আপনার দেওয়া ফোন নম্বরে যে ছয় অক্ষরের ওটিপি কোড যাবে সেটি এবার বসিয়ে একটি নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে হবে। নতুন পাসওয়ার্ডটি আবার দিয়ে সাবমিট করতে হবে। পাসওয়ার্ড অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার একটি ই-রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন পেজে আপনার টিন নম্বর, পাসওয়ার্ড ও ক্যাপচা দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। আপনাকে ই-রিটার্নের ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। এখানে ই-টিনের যাবতীয় তথ্য, রিটার্ন সাবমিশন ও ট্যাক্স রেকর্ডের সব তথ্য পাবেন।
ই-রিটার্ন ড্যাশবোর্ডের ‘সাবমিশন’ অপশনের ভেতর দুটি রিটার্ন পেজ পাবেন। ‘রেগুলার ই-রিটার্ন’ ও ‘সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন’। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বার্ষিক করযোগ্য আয় পাঁচ লাখ টাকার কম হলেই ‘সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন’ আয়কর বিবরণী জমা দিলেই হবে। এ ছাড়া সম্পদের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার কম হতে হবে, এমন শর্তও রয়েছে। আর বেশি থাকলে ‘রেগুলার ই-রিটার্ন’।
সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন অপশনে ক্লিক করলে একটি পপ আপ আসবে। সেখানে এক পাতার রিটার্ন পূরণের শর্তাবলিগুলোতে টিক দিতে হবে। যেমন- করযোগ্য আয় অনূর্ধ্ব ৫,০০,০০০ (পাঁচ লাখ) টাকা; মোট পরিসম্পদ অনূর্ধ্ব ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লাখ) টাকা; গণকর্মচারী নন; মোটরযানের মালিক নন; সিটি করপোরেশনে গৃহ সম্পত্তির মালিক নন; বিদেশে পরিসম্পদের মালিক নন; কম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নন। এরপর আয়ের প্রধান উৎসের স্থান সিলেক্ট করে সাবমিট করতে হবে।
এরপর ‘স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন’ খসড়া পেজ আসবে। সেখান থেকে আপনি আপনার আয়ের উৎস, মোট পরিসম্পদ, মোট আয়, আয়করযোগ্য কর, কর রেয়াত, প্রদেয় কর, উৎসে কর্তিত কর, এই রিটার্নের সহিত প্রদত্ত কর, জীবনযাপন ব্যয় উল্লেখ করতে পারবেন। এরপর নিচের সেভ এজ ড্রাফটে ক্লিক করে সেভ করতে পারবেন। আবার সব ঠিকঠাক থাকলে ডানপাশের সাবমিট রিটার্ন অনলাইন বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করতে পারবেন।
রেগুলার ই-রিটার্ন অপশনে ক্লিক করলে এসেসমেন্ট ইনফরমেশন ও হেডস অব ইনকামের পেজ আসবে। এখানে রিটার্ন স্কিম ঘরে সেলফ, এসেসমেন্ট ইয়ার ও ইনকাম ইয়ারের ঘরে সাল ও তারিখ ডিফল্ট থাকবে। এরপর ডান পাশের হেডস অব ইনকামের নিচের অপশনগুলোতে টিক দিতে হবে।
যেমন- ইনকাম ফ্রম ইম্পলয়মেন্ট; ইনকাম ফ্রম রেন্ট; ইনকাম ফ্রম অ্যাগ্রিকালচার; ইনকাম ফ্রম বিজনেজ; ক্যাপিটাল গেইনস; ইনকাম ফ্রম ফিন্যানশিয়াল এসেটস ও ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস। এ ছাড়া এর নিচে বাংলাদেশের বাইরে থেকে ইনকাম হলে সেই ঘরেও টিক দিতে হবে। এরপর সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর এডিশনাল ইনফরমেশনে কোথায় চাকরি করেন সেই স্থানের নাম সিলেক্ট করতে হবে। যেমন- ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন, ঢাকা সাউথ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, আদার সিটি করপোরেশন, এনি আদার এরিয়া। এরপর ক্লেম ট্যাক্স রেবেট ফর ইনভেস্টমেন্ট, নিজের মোটর কার আছে কি না বা সিটি করপোরেশনের মধ্যে নিজের বাড়ি- এসব তথ্যে টিক দিয়ে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এখন এসেসমেন্ট, ইনকাম, রেবেট, এক্সপেনডিওর, এসেটস অ্যান্ড লায়াবিলিটিস ও ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট অপশনের পেজগুলো পূরণ করতে হবে। এর পর রিটার্ন ভিউ দেখে নিয়ে সব ঠিকঠাক থাকলে পেজের নিচের সাবমিট রিটার্ন বাটনে ক্লিক করে রিটার্নটি সাবমিট করতে পারবেন।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই–রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনও কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না। শুধু ওই সব দলিলাদির তথ্য দিলেই হবে। যেমন, সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন–ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে।
গত সপ্তাহে কয়েকটি খাতের পেশাজীবীদের অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেমন চার সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সরকারি কর্মচারী, সারা দেশের তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা, মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) ও নেসলে বাংলাদেশের কর্মীরা।
আয়কর বিবরণী জমায় যা লক্ষ রাখবেন
প্রতিবছরই আয়কর রিটার্ন জমা নিয়ে বাজেটে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তবে চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। গতবারের মতো এবারও বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রতিবছর জুলাই থেকে পরের বছরে জুন মাস পর্যন্ত আপনি যত করযোগ্য আয় করবেন, এর ওপরই কর দিতে হবে। করমুক্ত আয়সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম কর আগের মতোই আছে। এর পরিমাণ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির করদাতাদের জন্য ৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সিটির করদাতাদের ন্যূনতম কর ৪ হাজার টাকা এবং অন্য এলাকার করদাতাদের ৩ হাজার টাকা।
এ ছাড়া কোনও করদাতার বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার কম হলে এক পাতার রিটার্ন ফরম পূরণ করলেই চলবে। এক পাতার ফরমে সব মিলিয়ে ১৬ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো করদাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (এনআইডি), কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), সার্কেল, কর অঞ্চল, করবর্ষ, আবাসিক মর্যাদা, মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা, আয়ের উৎস, মোট পরিসম্পদ, মোট আয়, আরওপযোগ্য কর, কর রেয়াত, প্রদেয় কর, উৎসে কর কাটার পরিমাণ (যদি থাকে), এই রিটার্নের সঙ্গে প্রদত্ত কর, জীবনযাপনের ব্যয়।
ঠিকঠাক কাগজপত্র তৈরি রাখুন
রিটার্ন জমার সময় প্রমাণপত্র হিসেবে কিছু কাগজপত্র লাগবে। এখনই সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করার। যেসব কাগজপত্র লাগবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেতন সনদপত্র, বিনিয়োগের তথ্য (সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, ডিপিএস, জীবন বীমা, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ ইত্যাদি), ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ফ্ল্যাট ও জমির তথ্য, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনি ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।
ই-রিটার্ন সিস্টেমটি ব্যবহার করার সময় আপনার বায়োমেট্রিকভাবে ভেরিফাই করা মোবাইল নম্বর এবং ই-টিন নম্বর প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র যেমন সঙ্গে রাখতে হবে। এগুলো না থাকলে আগে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
বিনিয়োগ করে কর রেয়াত পেতে চাইলেও কিছু কাগজপত্র লাগবে। যেমন জীবনবিমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলের চাঁদা ও গোষ্ঠী বিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত সবচেয়ে কম। এখনো তা ১০ শতাংশের নিচে। এই হার প্রতিবেশী নেপালের অর্ধেকের চেয়ে কম। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান বা পাকিস্তানও এদিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে সামগ্রিক রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের অনুপাত বেশি। তাই ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করতে হবে। এতে প্রত্যক্ষ করের অনুপাত বাড়বে।
সমস্যায় পড়লে কী করবেন?
কোনও করদাতা অনলাইনে নিবন্ধন ও রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও সমস্যায় পড়েন, তাহলে এনবিআরের কল সেন্টারের সহায়তা নিতে পারেন। রিটার্ন প্রস্তুত করার সময়, আপনি (?) চিহ্নে মাউস রেখে সিস্টেম সহায়তা পেতে পারেন। এনবিআরের কল সেন্টারের নম্বর ০৯৬৪৩৭১৭১৭১। এ-সংক্রান্ত কল সেন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু আছে। কল সেন্টারে ফোন করলে একজন কর কর্মকর্তা আপনার সমস্যার সমাধান করে দেবেন।
সারাবাংলা/এসবিডিই
আয়কর রিটার্ন আয়ের সনদ ই ট্যাক্স রিটার্ন ই-রিটার্ন করদাতা নিবন্ধন ট্যাক্স রিটার্ন রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট রিটার্ন রিটার্ন জমা