ঢাকা: বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলা একাডেমি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (১০ জ্যৈষ্ঠ, ২৪ মে) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একক বক্তৃতা, নজরুল পুরস্কার ২০২৩ প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ’ এই প্রতিপাদ্যে নজরুল বিষয়ক একক বক্তৃতা দেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘কোনো ধরনের আপসরফা কিংবা গোলটেবিলের পথে নজরুল ভারত বা বাংলার স্বাধীনতা চাননি। তিনিই তো সেই উদয়পথের কবি, যিনি বলেছিলেন, বাংলা বাঙালির হোক, বাংলার জয় হোক, বাঙালির জয় হোক।’
‘বঙ্গবন্ধুও কখনোই আপসরফা কিংবা সমর্পণের রাস্তায় স্বাধীনতার কথা বলেননি। বরং নজরুলের মতোই গোটা জাতির বুকে বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত করেছেন এবং তাদের অনিবার্য স্বাধীনতার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ করেছেন’— বলেন নুরুল হুদা।
এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, ‘১৯২২-এর শেষে নজরুল যে অগ্নিবীণা বাজিয়েছেন। এর ঠিক অর্ধশতাব্দী পর অর্থাৎ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে অগ্নিবীণার সুর সারাবাংলায় ছড়িয়ে দিয়েছেন স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্ররূপে।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘নজরুল এবং বঙ্গবন্ধু বাংলা, বাঙালি এবং বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য সত্তার নাম। তাদের সারাজীবনের সংগ্রামের মূল প্রতিপাদ্য এবং গন্তব্য ছিল বাংলার খেটে খাওয়া, দুঃখী মানুষের সার্বিক মুক্তি এবং সমৃদ্ধি।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ প্রয়াত কল্যাণী কাজীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং রুবিনা আজাদ। নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী এবং রাহাত আরা গীতি।