জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
২০ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২১
আবহমান বাঙালিয়ানায় নিউ ইয়র্কে উদযাপন করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৬। কূটনৈতিক ও বিদেশী অতিথিদের উপস্থিতিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতিসংঘের স্থায়ী বাংলাদেশ মিশনে করা হয় এই আয়োজন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে। মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন আগত দর্শনার্থীর জন্য হাজির করা হয়, আবহমান বাঙালির সংস্কৃতির অসংখ্য উপাদান। ঢাক-ঢোল-একতারা, পালতোলা নৌকা, ডালা-কুলা, তালপাতার পাখা, নকশী কাঁথা, মাটির পুতুল, মাটির থালা-বাসুন, কাঁচের চুড়ি, মাছ ধরার পোলো, পালকি, পাটের সুতার সিকা, আলপনা ও নানা-বর্ণের ব্যানার-ফেস্টুন-বেলুন ও শাড়ি দিয়ে সাজানো হয় পুরো মিলনায়তনটিকে।
প্রবাসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের এই ধারা বহির্বিশ্বে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির প্রসারে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে মনে মন্তব্য করেন আগত অতিথিগণ।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বর্ণিল এই অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয় বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকগণের সন্তানদের দলীয় নৃত্যের মধ্য দিয়ে। এর কবিতা আবৃত্তি, একক নৃত্য ও রবীন্দ্র সংগীতের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল এই আয়োজনে খাবার মেন্যুতে ছিল ঘরে তৈরি পিঠা-পুলি, নাড়ু, মুড়ি-মুড়কি-মুয়া, সাজ-বাতাসা, পায়েস, মিষ্টিসহ অন্যান্য বাঙালি খাবার।
দৃষ্টি আকর্ষণ: মেসেঞ্জার-ইনবক্সে খবর জানাবে সারাবাংলা News BOT
অনুষ্ঠানটিতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিদেশী অতিথিদের সামনে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাংলা বর্ষবরণের এই ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী মিশনসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল, সিনিয়র কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারত, শ্রীংলকা, নেপাল, সৌদি আরব, মিশর, ইতালি, ব্রাজিল, বেনিন, এন্ডোরা, বারবাডোস, কলম্বিয়া, এস্তোনিয়াসহ প্রায় চল্লিশটি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও অন্যান্য কূটনীতিকগণ অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/এনএইচ