পোস্তদানা আমাদের উপমহাদেশের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ, বিশেষ করে বাংলা খাবারে এর কদর অতুলনীয়। শুক্তো থেকে শুরু করে আলু পোস্ত—বাঙালির রান্নাঘরে পোস্তর অবস্থান অনেকদিনের। তবে সেই পরিচিত উপকরণটিই যখন ডিমের মতো সহজলভ্য আর প্রিয় উপাদানের সঙ্গে মিশে যায়, তখন তৈরি হয় এক অভিনব ও মজাদার পদ—ডিম পোস্ত।
এই মজাদার এই খাবারটির উৎপত্তি নির্দিষ্টভাবে কোথায় হয়েছে তা বলা কঠিন, তবে অনুমান করা হয় এটি বাংলার ঘরোয়া রান্নাঘরেই জন্ম নিয়েছে। কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, জয়ফল-যত্রির ঘ্রাণ আর পোস্তর ঘন গ্রেভিতে ডিম যখন মিশে যায়, তখন সেই স্বাদ শুধু মুখে নয়, মনেও রেখাপাত করে।
যারা ডিম ভালবাসেন, আর পোস্তর প্রতি একটা টান রয়েছে, তাদের জন্য এই রেসিপি যেন স্বর্গীয়। পোলাও বা পরোটার সঙ্গে খেতে যে কতটা লোভনীয় লাগে, একবার না খেলে এর স্বাদ বোঝা যাবে না।
উপকরণ_
ডিম – ৪টি (সিদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো)
পোস্তদানা – ২ টেবিল চামচ (পানিতে ভিজিয়ে বাটা)
কাজুবাদাম – ১ টেবিল চামচ (বাটা)
চিনাবাদাম – ১ টেবিল চামচ (বাটা)
জায়ফল ও যত্রি – ১ চিমটি (একসাথে বেটে নেওয়া)
আদা-রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ – ৪-৫টি (চিরে নেওয়া)
পেঁয়াজ – ১টি মাঝারি আকারের (পাতলা কুচি)
হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
লবণ – স্বাদমতো
চিনি – ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
সাদা তেল – প্রয়োজনমতো
প্রস্তুত প্রণালী _
১. ডিমগুলোতে সামান্য ছেদ কেটে নিন যাতে মশলা ভালোভাবে ঢুকে যায়।
২. কড়াইতে তেল গরম করে ডিমগুলো হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
৩. একই তেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করে ভেজে নিন।
৪. এবার আদা-রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।
৫. তারপর পোস্ত, কাজুবাদাম ও চিনাবাদাম বাটা দিয়ে কষাতে থাকুন।
৬. মসলা থেকে তেল ছাড়লে জায়ফল-যত্রি বাটা, হলুদ গুঁড়ো, চিনি, লবণ ও কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে দিন।
৭. অল্প পানি দিয়ে গ্রেভি তৈরি করুন।
৮. এবার ভাজা ডিমগুলো দিয়ে ঢেকে দিন এবং ৫-৭ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন।
৯. তেল ওপরে উঠে এলে নামিয়ে নিন।
এবার গরম গরম পোলাও কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।