এক কাপ গরম চা কিংবা এক মগ কফি—ব্যস্ত দিনের শুরুতে বা ক্লান্ত বিকেলে চাঙা করে তুলতে এর জুড়ি নেই। তবে চা ও কফির ব্যবহার কেবল পানীয় হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়, রূপচর্চার দুনিয়াতেও এর রয়েছে সমান জনপ্রিয়তা।
প্রাকৃতিকভাবে চুলের রঙ পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চা ও কফি যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালো বা বাদামি চুলে চা পাতা বা কফি ব্যবহার করলে পাওয়া যায় হালকা ও প্রাকৃতিক রঙের ছোঁয়া। এটি কেবল রঙই আনে না, বরং চুলে যোগ করে এক ধরনের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চা ও কফি রাসায়নিক রঙের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। বাজারের হেয়ার ডাই-এ থাকা কেমিক্যাল চুলকে রুক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। সেখানে চা ও কফি সাশ্রয়ী মূল্যের, সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক। যদিও এর রঙ স্থায়ী নয়, তবে নিয়মিত ব্যবহারে চুলের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ ও ঝলমলে রূপ পাওয়া সম্ভব।
ব্যবহারের পদ্ধতিও সহজ—ঘন চা বা কফি বানিয়ে ঠান্ডা করে ধোয়া চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে চুলে আসবে প্রাকৃতিক রঙের পাশাপাশি কোমলতা ও উজ্জ্বলতা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিশ্বাসীরা বলছেন, রাসায়নিকের যুগে ফিরে আসা এই প্রাকৃতিক যত্ন শুধু চুল নয়, মনেরও যত্ন নেয়। কারণ নিজের চুলের যত্ন নেওয়ার আনন্দটাও কিন্তু আলাদা!