বিকেলের আকাশে জমেছে কালো মেঘ, দূরে কোথাও বজ্রপাতের শব্দ। এমন ঠান্ডা-ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছের স্বাদ যেন স্বর্গীয় হয়ে ওঠে। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি আর ভেতরে তৈরি হচ্ছে এক বাঙালির চিরচেনা আনন্দ ইলিশ খিচুড়ি। রইলো রেসিপি …
ভাজা মসলার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ _
আস্ত ধনে ২ চা–চামচ
আস্ত জিরা ২ চা–চামচ
শুকনা লাল মরিচ ৫–৬টি
গোলমরিচ ৮–১০টি
এলাচ ৮–১০টি
দারুচিনি ৫–৬ টুকরা
প্রস্তুত প্রণালি (ভাজা মসলা) _
সব মসলা শুকনো কড়াইয়ে মাঝারি আঁচে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। ঠান্ডা হলে ভালোভাবে গুঁড়া করে রাখুন।
খিচুড়ির জন্য উপকরণ _
মুগডাল ২০০ গ্রাম
মসুর ডাল ২০০ গ্রাম
ছোলার ডাল ১০০ গ্রাম
পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম
ঘি ৩ চা–চামচ
সরিষার তেল আধা কাপ
পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ
আদাবাটা ১ চা–চামচ
রসুনবাটা ২ চা–চামচ
হলুদের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ
টমেটো কুচি আধা কাপ
ইলিশ মাছ ১ কেজি (টুকরা করা)
পানি প্রয়োজনমতো
কাঁচা মরিচ ৩–৪টি
লবণ স্বাদমতো

বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি আর ভেতরে তৈরি হচ্ছে এক বাঙালির চিরচেনা আনন্দ ইলিশ খিচুড়ি
প্রস্তুত প্রণালি (খিচুড়ি) _
প্রথমে তিন রকমের ডাল আলাদা করে ধুয়ে অন্তত আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর নরম হওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করুন। চাল ভালোভাবে ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে সরিষার তেল ও ১ চা–চামচ ঘি গরম করুন। তেলের ঝাঁঝ কমে এলে পেঁয়াজবাটা দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ, আদা ও রসুনবাটা যোগ করুন। হালকা বাদামি হলে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে কষান। টমেটো কুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত কষাতে থাকুন।
এবার ইলিশ মাছের টুকরা দিয়ে ১০–১৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। মাছগুলো সাবধানে উঠিয়ে রেখে দিন। অবশিষ্ট ঝোলে পানি যোগ করে ফুটিয়ে নিন। সেদ্ধ করা ডাল ও ভিজিয়ে রাখা চাল ঢেলে দিন। মাঝারি আঁচে চাল সেদ্ধ হতে দিন। চাল ঠিকমতো সেদ্ধ হয়ে এলে আগে ভাজা গুঁড়ো মসলা ছিটিয়ে দিন। উপরে বাকি ২ চা–চামচ ঘি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম খিচুড়ি ইলিশ মাছের সঙ্গে পরিবেশন করুন। চাইলে পেঁয়াজভর্তা বা বেগুনভর্তা দিতে পারেন।