প্রতিদিন সকালে অফিসের আগে আয়নার সামনে দাঁড়ালে একটাই প্রশ্ন— ‘আজ কীভাবে নিজেকে একটু পরিপাটি দেখাব, অথচ সময়ও যেন নষ্ট না হয়?’ আধুনিক কর্মজীবী নারীদের জন্য উত্তরটা একটাই— মিনিমাল মেকআপ।
এটা কোনো ট্রেন্ড নয়, বরং একধরনের লাইফস্টাইল। যেখানে লক্ষ্য থাকে ত্বককে ভারী করে না ফেলে, বরং তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যটা তুলে ধরা।
সকালের তাড়াহুড়োয় প্রথম ধাপ হলো ক্লিন স্কিন। মুখ ভালো করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে মেকআপ ত্বকে সুন্দরভাবে বসে। এর পরের ধাপে ভারী ফাউন্ডেশন নয়, বরং বিবি ক্রিম বা টিনটেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের রঙ সমান হয়, কিন্তু মুখ কৃত্রিম লাগে না।
চোখের নিচের হালকা কালচে ভাব ঢাকতে সামান্য কনসিলার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
তারপর আসুক লাইট কমপ্যাক্ট পাউডার— এটি ঘাম বা তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে, বিশেষ করে অফিসের এয়ারকন্ডিশনে দীর্ঘসময় থাকার ফলে ত্বক যে নিস্তেজ দেখায়, তা কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়।
চোখে ভারী আইশ্যাডো বা গ্লিটার নয়, বরং নিউট্রাল ব্রাউন বা পিচ টোনের শেড বেছে নিন। সামান্য মাসকারা দিলে চোখটা জেগে ওঠে। অনেক সময় শুধু ভ্রুটা সুন্দর করে আঁকলে পুরো মুখে একটা শার্পনেস আসে— তাই আইব্রো পেন্সিল ব্যবহার ভুলবেন না।
ঠোঁটের জন্য ভারী লিপস্টিকের বদলে নিউড, পিঙ্ক বা মভ টোনের লিপবাম বা টিন্ট যথেষ্ট। এতে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড থাকে, আর লুকও ন্যাচারাল লাগে। চাইলে এক ফোঁটা ব্লাশ হালকা করে গালে লাগাতে পারেন—তাতে মুখে প্রাণ আসে, ক্লান্তি কম দেখায়।
মিনিমাল মেকআপের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো— এটা কৃত্রিম নয়, বরং নিজের ত্বককে শ্বাস নিতে দেয়। অফিসে দিনের পর দিন ভারী মেকআপ ত্বককে ক্লান্ত করে তোলে, সেখানে এই নরম, প্রাকৃতিক সাজ আপনাকে রাখবে সতেজ ও আত্মবিশ্বাসী।
সবশেষে মনে রাখবেন, অফিস মেকআপের মূল উদ্দেশ্য গ্ল্যামার নয়, বরং পরিপাটি ও প্রফেশনাল লুক। তাই ‘কমই অনেক’—এই কথাটা হোক প্রতিদিনের সাজের মন্ত্র।