বাংলাদেশে ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে আমাদের ত্বকে। গরম শেষে যখন ধীরে ধীরে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করে, তখনই দেখা দেয় নানা রকম ত্বকজনিত সমস্যা— শুষ্কতা, রুক্ষতা, খোসা ওঠা, এমনকি অ্যালার্জিও। তাই শীত পুরোপুরি নামার আগেই ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করা জরুরি।
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে গেলে আমাদের ত্বক তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারায়। বিশেষ করে মুখ, হাত ও ঠোঁট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সময় পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজিং, সঠিক খাবার গ্রহণ ও পর্যাপ্ত পানি পান করা ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার মূল চাবিকাঠি।
প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা ক্রিম– বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক তৈলাক্ত হলেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরি— শুধু সেটা হতে হবে হালকা জেল–বেসড। এছাড়া ঘরে ফেসপ্যাক হিসেবে দই, মধু, কলা বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলেও ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ফিরে আসে।
শীতের সময় অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলে যান, কিন্তু ভিতর থেকে আর্দ্রতা না থাকলে বাইরের যত যত্নই নেওয়া হোক না কেন, ত্বক উজ্জ্বল থাকবে না। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা, ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া, এবং পর্যাপ্ত ঘুম ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
সূর্যের আলোর প্রভাব শীতেও থাকে, তাই বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। ঠোঁটের যত্নেও অবহেলা করা যাবে না— লিপ বাম ব্যবহার করুন নিয়মিত। আর শীতে গরম পানিতে গোসল না করাই ভালো, কারণ এতে ত্বক আরও বেশি শুকিয়ে যায়।
শীতের আগমনের এই সময়টাতেই যদি নিয়মিত যত্ন শুরু করা যায়, তাহলে পুরো মৌসুমজুড়ে ত্বক থাকবে কোমল, উজ্জ্বল ও সুস্থ। তাই এখনই শুরু করুন নিজের যত্ন—কারণ সুন্দর ত্বকই আত্মবিশ্বাসের প্রথম ধাপ।