আজ স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস
১০ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৫৭
লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আজ ১০ অক্টোবর সারা দেশে পালিত হচ্ছে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য,
‘সন্তানকে বুকের দুধ দিন
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়িয়ে চলুন’
বাংলাদেশে ১৯টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম’-এর উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১০ অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হলেও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই পুরো অক্টোবর জুড়ে স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। আর স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নাই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ১৫ লাখের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন আর প্রতি লাখে ১৫ জন নারী মারা যান। আমাদের দেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড করা না হলেও, পার্শ্ববর্তী দেশের তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্তন ক্যানসারের চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর এই ঝুঁকি থেকে বাঁচার প্রধান উপায় হল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যে স্তন ক্যানসার সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা। আসুন স্তন ক্যানসারের কারণ ও লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে জানি।
স্তন ক্যানসার কেন হয় তার নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে একাধিক কারণকে স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী করা যায়।
আসুন কারা কারা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন তা দেখে নেই
- ৪০ বছরের বেশি বয়স্ক নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি
- স্তন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে অর্থাৎ মা-খালাদের থাকলে সন্তানদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি
- অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- যেসব মায়েরা সন্তানকে কখনও বুকের দুধ খাওয়াননি তাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি
- ৩০ বছরের পরে যারা প্রথমবারের মত মা হয়েছেন, তাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- যাদের তুলনামূলক কম বয়সে মাসিক শুরু হয় ও দেরিতে মাসিক বন্ধ হয় তারা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন
- একাধারে অনেকদিন (১০ বছর বা বেশি) জন্ম নিরোধক বড়ি খেলেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়
আসুন দেখে নেই স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো কী কী।
- স্তনের বোটা থেকে কিছু বের হওয়া
- স্তনের ভিতর চাকা (lump) অনুভব করা
- স্তনে ব্যাথা অনুভব করা
- স্তনের আকারে লক্ষণীয় পরিবর্তন
- স্তনের ত্বকে ঘাঁ দেখা দেওয়া
- স্তনের ত্বকে লালচে ভাব বা লালচে দাগ দেখা দেওয়া
উপরের লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দেওয়ার সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরার্মশ অত্যন্ত জরুরি যা স্তন ক্যান্সারের ভয়াবহতা ও মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে। আসুন সচেতন হই জীবন বাঁচাই।