চোখের যত্নে প্রকৃতির ছোঁয়া
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:২৮
‘চোখ যে মনের কথা বলে’- তাই চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চায় সবাই। সামান্য কিছু যত্নেই তা সম্ভব। মনে রাখা ভালো, চোখের সুস্থতাই আসল কথা। সুস্থ চোখ মানেই ‘সুন্দর চোখ’।
চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর দিকগুলো এড়িয়ে যেতে আজকাল অনেকেই ভেষজ উপাদানে ত্বক, চুল ও চোখের পরিচর্চার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভেষজ উপাদান ব্যবহারে চোখের যত্ন হয় প্রাকৃতিকভাবে। এতে চোখের সুরক্ষা বজায় রাখার পাশাপাশি সৌন্দর্য রক্ষাও সম্ভব হচ্ছে।
ভেষজ উপাদানে কোন ক্ষতিকারক পদার্থ নেই। মেলেও হাতের নাগালে। ভেষজ উপাদান ব্যবহারে চোখের সুস্থতা ও সৌন্দর্য ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আয়ুর্বেদিক সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দীকা।
চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে
নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করা উচিত। বাইরে গেলে ধুলাবালি ও রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। মাশকারা, আইলাইনার, আইশ্যাডো কিংবা কাজল ওঠানোর সময় তুলায় সামান্য অলিভ ওয়েল নিয়ে ধীরে ধীরে চোখ পরিষ্কার করুন। এই পণ্যগুলো ব্যবহারের ৪ ঘন্টা পর চোখ পরিষ্কার করলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
চোখে খুশকি হলে
অনেকের চোখের পাতায় খুশকি হয়। খুশকি হলে চোখের পাতা পড়ে যায়, এতে চোখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। মসুর ডাল ভেজানো পানি এক্ষেত্রে খুব উপকারি। চাইলে আমলকি ভেজানো পানিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের ভেতরে যেন মসুর ডাল কিংবা আমলকি ভেজানো পানি না যায়। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। চোখ বন্ধ করে এই পানি ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের খুশকি কমে যাবে।
পাপড়ি বড় করতে…
চোখের সৌন্দর্য বাড়ায় পাপড়ি। চোখের পাপড়ি বড় করতে চান অনেকেই। সামান্য যত্নেই তা করা সম্ভব। রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য ক্যাস্টর অয়েল চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন ও সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে হাত ব্যবহার না করে মাশকারার তুলি ব্যবহার করা ভালো। এভাবে প্রতিদিন ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে চোখের পাপড়ি বড় ও কালো হয়।
কালো দাগ দূর করতে
নানা কারণে চোখের চারপাশে কালো দাগ হতে পারে। ভেষজ উপাদানে মিলবে এর সমাধান। শসা ও আলু কুচি করে চোখের চারপাশে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চাইলে আলু ও শসা কুচি আলাদাভাবেও ব্যবহার করা যায়।
ফোলাভাব কমাতে
ফোলাভাব থাকলে চোখের সৌন্দর্য হানি ঘটেই। ব্যবহার হওয়া টি-ব্যাগ ঠান্ডা করে চোখের ওপর রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। চোখের ফোলাভাব কমে যাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম দরকার
কেবল বাহ্যিক পরিচর্চাই চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে দরকার পর্যাপ্ত ঘুমের। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে চোখে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
মানসিক চাপ দূরে রাখুন
মানসিক চাপ থাকলে চোখের ওপর প্রভাব পড়ে। চোখ মলিন হয়ে যায়। চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরী। যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন।
চোখে অ্যালার্জি বা যেকোন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানান সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দীকা। তিনি বলেন, ভেতর থেকে সুস্থ থাকলেই চোখে প্রাণবন্ত সৌন্দর্য আসে। এজন্য সঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুম ও ব্যায়াম করা উচিত।
মডেল- খাদিজা সুলতানা